শনিবার (৮ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) ‘হইচই’ করাটা ঠিক হয়নি বলে মনে করেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেন, ঘটনাটি খারাপ লেগেছে এবং তিনি কিছুটা বিব্রতও হয়েছেন। তবে এ ঘটনায় বিচলিত নন।
সোমবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার ডিসি-এসপিদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময় হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে ওই সভায় নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমানের বক্তব্যের জের ধরে ডিসি-এসপিরা হই-হট্টগোল করে ওঠেন। আনিছুর রহমান ভোটের সময় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পক্ষপাতের অভিযোগের কথা তুলে ধরেছিলেন। তার এই কথায় ডিসি-এসপিরা হইচই শুরু করেন। এ সময় সভা সাময়িকভাবে বিঘ্নিত হয়। পরে ডিসি-এসপিদের আপত্তির মুখে আনিছুর রহমান বক্তব্য শেষ না করে তার সিটে গিয়ে বসে পড়েন।
সোমবার এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ওই সভায় অংশ নেওয়া কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, হইচই করাটা তাদের ঠিক হয়নি, এটা সত্য কথা। পরিবেশটা তৈরি হওয়াটা কোনোভাবেই ঠিক হয়নি। সাময়িকভাবে বলবো, একটু খারাপ লাগছে। বিব্রত তো বটেই। কারণ, ওই রকম একটা ঘটনা কে চায়? মাথার মধ্যেই তো আনতে পারিনি এ ধরনের একটা পরিস্থিতি তৈরি হবে। যেটা হয়ে গেছে ওটা নিয়ে আমরা এত বিচলিত না। বিচলিত হওয়ার কোনও কারণ আছে বলেও আমি মনে করি না।
ডিসি-এসপিদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের কোনও বিতণ্ডা নিয়ে গোটা দেশ মাতামাতি করছে এবং সবাইকে সোচ্চার মনে হচ্ছে মন্তব্য করে রাশেদা সুলতানা বলেন, যে উত্তপ্ত হয়েছিল হয়তো কথার (কমিশনার আনিছুর রহমানের) প্রক্ষেপণটা ওনাদের ভালো লাগেনি। যে প্রসঙ্গ নিয়ে হঠাৎ উত্তেজনাকর অবস্থা সৃষ্টি হলো, সেটা যে খুব মিথ্যা তা কিন্তু নয়। প্রসঙ্গগুলো যে আমাদের সমাজে নেই তা কিন্তু নয়। প্রসঙ্গগুলো সত্য। হয়তো বলার ধরনটা ওনারা নিতে পারেননি। তবে একটা বিচ্ছিন্ন বিষয় নিয়ে রিঅ্যাক্ট করার মানে এই না যে ওনারা সার্বিক দায়িত্ব থেকে সরে যাবেন। ওনারা বলেছেন, ইসি যেভাবে নির্দেশনা দেবেন সেভাবে কাজ করবেন। বিচ্ছিন্ন বিষয়ের জন্য তারা আমাদের সহযোগিতা করবেন না, এটা আমি বিশ্বাস করি না।