যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-কে দেওয়া মার্কিন সহযোগিতা বন্ধ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সময় বুধবার (১২ অক্টোবর) নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নেড প্রাইসকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র র্যাব গঠন করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রই এই বাহিনীকে প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম ও অস্ত্র সরবরাহ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে যে প্রশিক্ষণ পেয়েছে সে অনুসারেই র্যাব কার্যক্রম চালাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর এই বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?
জবাবে নেড প্রাইস বলেন, প্রকৃত সত্য হলো র্যাবের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের গ্রহণযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র এই বাহিনীকে দেওয়া সহযোগিতা ২০১৮ সালে বাতিল করেছে। চার বছর আগে গ্রুপটির জন্য আমাদের সহযোগিতা বন্ধ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বাস্তবতা হলো গত বছর ডিসেম্বরে আমরা র্যাব এবং বাহিনীটির ছয় বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি। গুরুতর ও মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকায় গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। র্যাবের দুই সাবেক কর্মকর্তাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে আমরা পৃথক আইনের আওতায় তালিকাভুক্ত করেছি।
মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান তুলে ধরে নেড প্রাইস বলেন, বাংলাদেশ বা দক্ষিণ এশিয়া কিংবা বিশ্বের যেকোনও স্থান হোক, আমরা মানবাধিকারকে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রে রাখি। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় আমরা জড়িতদের সামনে আনার চেষ্টা করি।
নেড প্রাইস বলেন, র্যাব ও বাহিনীর ৬ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা ও ভিসায় বিধিনিষেধের লক্ষ্য হচ্ছে, বাহিনীটিতে জবাবদিহি ও সংস্কার নিশ্চিতের পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন ঠেকানো।