বিএনপির আগামী দিনের কর্মসূচি ঘিরে রাজপথে সক্রিয় থাকবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও। ফলে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ও কর্মসূচি সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়বে। গত শনিবার রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের দিন আওয়ামী লীগ ঢাকা জেলা কমিটির সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কার্যত এ পাল্টাপাল্টি শুরু হয়ে গেছে। আগামী ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ৩০টির মতো জেলা ও মহানগর কমিটির সম্মেলন করার কথা আওয়ামী লীগের। যার মধ্য দিয়ে কর্মীদের মাঠে সক্রিয় রাখবে দলটি।
৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশ। একই দিন কুমিল্লায় মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন করবে আওয়ামী লীগ। এতে দলের সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকতে পারেন। এরপর ২৬ নভেম্বর কুমিল্লায় বিএনপির গণসমাবেশের কর্মসূচি আছে, ওই দিন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন।
দলীয় সূত্র জানায়, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণার আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে কুমিল্লা মহানগরের সম্মেলন সম্প্রতি ঠিক হয়েছে।
বিএনপির পরবর্তী বিভাগীয় গণসমাবেশ বরিশালে—৫ নভেম্বর। খুলনা ও রংপুরের মতো ইতিমধ্যে বরিশাল পরিবহন মালিক সমিতি ওই দিন ধর্মঘট ডেকেছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগও বিএনপির সমাবেশের দিন মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। গত সোমবার রাতে বরিশাল নগরের ৩০টি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা একযোগে মিছিল-সমাবেশ করার পর উত্তেজনা ছড়ানোর আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
বরিশালের পর ১২ নভেম্বর ফরিদপুর, ১৯ নভেম্বর সিলেট এবং ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে গণসমাবেশ। তারপর ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে বিএনপি।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, বিএনপির ঢাকার সমাবেশ ঘিরে আওয়ামী লীগের ব্যাপক প্রস্তুতি থাকবে। ওই দিন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের সম্মেলনে উপস্থিত থাকেন। তবে এখনো তারিখ নিশ্চিত করা হয়নি। তবে দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপির কর্মসূচির দিন ঢাকায় সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন না থাকলেও মহানগর আওয়ামী লীগ বিজয় দিবসের কোনো না কোনো কর্মসূচি পালন করবে। অর্থাৎ ওই দিন বিএনপিকে চাপে রাখার সব ধরনের কৌশল প্রয়োগ করবে আওয়ামী লীগ।