বরুড়া উপজেলার শিলমুড়ী উত্তর ইউনিয়নের দিঘলগাঁও গ্রামে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী (নৌকা) আলহাজ্ব মো. আবু ইসহাকের নির্বাচনী ক্যাম্পে ককটেল বোমা হামলা, ভাঙচুর ও নৌকা প্রতীকে অগ্নি সংযোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রাত ১১টায় একটি কালো মাইক্রোবাসসহ ৪টি মোটরসাইকেলযোগে দুর্বৃত্তরা এ হামলা করে।
অভিযোগ করা হচ্ছে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুস সালামের লোকজন এ হামলা চালিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় আতিক জানান, রাত আনুমানিক ১১টার দিকে পশ্চিম দিক থেকে চারটি মোটরসাইকেল ও আব্দুস সালামের কালো জিপ গাড়ি যোগে ৮ থেকে ৯ জন হেলমেট পড়িত ব্যক্তি এসে আলহাজ্ব আবু ইসহাক সাহেবের নির্বাচনী প্রচারণা ক্যাম্পের সামনে অবস্থান নিয়ে এলোপাথাড়ি ককটেল বোমা নিক্ষেপ শুরু করে।
তিনি আরো জানান, ককটেল-বোমার শব্দে স্থানীয়রা দৌড়ে পালাতে থাকে। পরবর্তীতে আব্দুস সালামের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা নৌকা মার্কার নির্বাচনী ক্যাম্পে থাকা চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে।
ককটেল শব্দ শুনে আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হওয়া শুরু করলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ, ককটেল বোমা নিক্ষেপ, এবং দেশিয় অস্ত্র নিয়ে স্থানীয় লোকজনদের ধাওয়া করে অভিযুক্তরা। পরে নৌকার প্রতিকৃতিতে অগ্নিসংযোগ দিয়ে তাড়াহুড়ো করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা। ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় তারা লোকজনদের বলতে থাকেন, ‘কেউ সামনে আসবেন না, সামনে আসলে মেরে ফেলবো সব সালাম ভাই দেখবে।’
নির্বাচনের আগে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ আহমেদ জানায়, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন প্রকার অরাজকতা করতে দেয়া হবে না। ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে কঠোর পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থার নেওয়া হয়েছে।
তবে, নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুস সালাম বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে আমি বা আমার নেতাকর্মীরা কিছুই জানিনা। নির্বাচনে পরাজয় হবে ভেবে নিজেরাই নৌকায় আগুন দিয়ে আমাকে হয়রানির চেষ্টা করছে তারা। বরং আবু ইসহাকের লোকজন নলুয়ায় আমার নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর করেছে। আমি প্রশাসনকে ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তের অনুরোধ করছি।
প্রসঙ্গত, ১৬ মার্চ বরুড়া উপজেলার দুইটি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।