শিগগিরই স্থিতিশীল সরকার গঠন না হলে শাটডাউনের সম্মুখীন হতে পারে শ্রীলঙ্কা। এমনই সতর্কবার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর নন্দলাল ওয়েরাসিংহে। বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) বিবিসির নিউজ নাইট প্রোগ্রামে বলেন, প্রয়োজনীয় পেট্রোলিয়ামের জন্য পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যাবে কিনা তা একেবারেই অনিশ্চিত। এজন্য একটি স্থিতিশীল সরকার গঠনের বিকল্প নেই।
গত কয়েক দশকের মধ্যে তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মুখে শ্রীলঙ্কা। দেশজুড়ে জ্বালানি, ওষুধ ও খাদ্য সংকট মারাত্মক আকার নিয়েছে। বৈদেশিক ঋণ একদিকে গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশটির। চলমান সংকটের জন্য প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের প্রশাসনকে দায়ী করে তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে করে আসছিল লঙ্কানরা। শুক্রবার দেশটির স্পিকার আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় জানিয়েছেন, গোটাবায়া পদত্যাগ করেছেন এবং তা গৃহীত হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। এজন্য দেশটির বিক্ষুব্ধ জনগণকে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন স্পিকার।
সরকারের অচলাবস্থার মধ্যে গভর্নর নন্দলাল ওয়েরাসিংহে বলেন, স্থিতিশীল প্রশাসন ছাড়া কীভাবে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো সরবরাহ করা যায়, সে সম্পর্কে কোনও পথ দেখতে পাচ্ছি না।
বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা সম্ভবত চলতি মাসের শেষ দিকে ডিজেলের অন্তত তিনটি ও পেট্রোলের একটি বা দুটি চালানের জন্য অর্থায়নে সক্ষম হয়েছি। তবে এর বাইরেও, দেশের জন্য অপরিহার্য পেট্রোলিয়াম অর্থায়নের জন্য আমরা পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহ করতে সক্ষম হবো কিনা তা অনিশ্চয়তা রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি তা না হয়, তাহলে গোটা দেশ বন্ধ অর্থাৎ শাটডাউন হয়ে যাবে। এমন একজন প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট ও মন্ত্রিপরিষদ দরকার, যারা প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। তা না হলে সব মানুষই চরম সংকটের মধ্যে দিয়ে যাবে।
তবে স্থিতিশীল সরকার আসলে তিন থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে সংকট কাটিয়ে উঠার সম্ভব মনে করেন তিনি।
সূত্র: বিবিসি।