যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান একটি হালকা উড়োজাহাজকে তাড়া করার পর সেটি ভার্জিনিয়ার পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। উড়োজাহাজটি আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছিলো বলে দাবি করেছেন কর্মকর্তারা।
সোমবার বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, উড়োজাহাজটি একটি সেসনা সাইটেশন জেট ছিল, যেটিকে রাজধানীর আকাশে তাড়া করে যুদ্ধবিমানগুলো। এদের বিকট শব্দে আতঙ্কিত হয় পড়েন রাজধানীবাসী।
ভার্জিনিয়া রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার স্থানে জীবিত কাউকে পাওয়া যায়নি।
ঘটনার সাথে পরিচিত একটি সূত্র জানায়, সেসনায় চারজন আরোহী ছিলেন। একটি সেসনা সাইটেশন সাত থেকে ১২ জন যাত্রী বহন করতে পারে।
ভার্জিনিয়া রাজ্য পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, বেশ কয়েক ঘণ্টা পর প্রথম প্রতিক্রিয়াকারীরা দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, কিন্তু কাউকে জীবিত পাওয়া যায়নি।
ফ্লাইট-ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইট অ্যাওয়্যার অনুসারে, সেসনাটি ফ্লোরিডার মেলবোর্নের আনকোর মোটরসে নিবন্ধিত ছিল। প্লেনটি নিউইয়র্ক এলাকায় পৌঁছানোর পর প্রায় ১৮০-ডিগ্রি বাঁক নিয়ে ঘুরে যায়।
আনকোরের মালিক জন রামপেল ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, তার মেয়ে, নাতি এবং তার আয়া জাহাজে ছিলেন।
রামপেলের উদ্ধৃতি দিয়ে পোস্ট বলেছে, আমরা ক্র্যাশ সম্পর্কে কিছুই জানি না। এখন আমরা ফেডারেল বিমান চলাচল প্রশাসনের (এফএএ) সাথে কথা বলছি।
উত্তর আমেরিকার অ্যারোস্পেস ডিফেন্স কমান্ড (নোরাড) এক বিবৃতিতে বলেছে, ভার্জিনিয়ায় জর্জ ওয়াশিংটন ন্যাশনাল ফরেস্টের কাছে সেসনাটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত মার্কিন সামরিক বাহিনী পাইলটের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তিনি সাড়া দিচ্ছিলেন না।
সেসনাটি অটোপাইলটে উড়ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে বলে আরেকটি সূত্র জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নোরাড বিমানগুলোকে সুপারসনিক গতিতে ভ্রমণ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল এবং এর ফলে ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা সনিক বুম শুনে থাকতে পারেন। পাইলটের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টায় অগ্নিশিখাও ব্যবহার করা হয়েছিল।
একজন মার্কিন কর্মকর্তা দাবি করেছেন, যুদ্ধবিমানগুলো উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার জন্য দায়ী নয়।
এফএএ এক বিবৃতিতে বলেছে, সেসনাটি টেনেসির এলিজাবেথটন মিউনিসিপ্যাল বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে ম্যানহাটনের প্রায় ৮০ কিলোমিটার পূর্বে নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ড ম্যাকআর্থার বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল। জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ড এই ঘটনার তদন্ত করবে।