করোনার কয়েকটি ঢেউয়ের আঘাতের পর অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে প্রতিবেশী অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে সফররত আইএমএফের প্রতিনিধিদলের আলোচনার পর বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে গতকাল রবিবার প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানায় সংস্থাটি।
রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যবিত্ত দেশে উত্তরণ ঘটাতে চাইলে বাংলাদেশকে অবশ্যই অবকাঠামোগত সমস্যা এবং নীতিকাঠামো আধুনিকায়ন করতে হবে। পাশাপাশি করোনা-পরবর্তী বিশ্বে বাংলাদেশকে প্রবৃদ্ধি অর্জন, বেসরকারি বিনিয়োগ ও উৎপাদন বাড়াতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবেলার সক্ষমতা অর্জনের দিকেও মনোযোগ দিতে হবে।
আইএমএফ দেশের অর্থনীতির প্রশংসা করলেও সামনের চ্যালেঞ্জগুলোও মনে করিয়ে দিয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা-পরবর্তী সময়ে এলডিসি থেকে উত্তরণে বাংলাদেশকে আরো সংস্কারের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। কভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট আর্থিক নীতি থেকে ক্রমান্বয়ে বের হয়ে আসতে হলে আর্থিক খাতের ঝুঁকি কমাতে হবে। এ জন্য করপোরেট সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও কাঠামোগত দুর্বলতা দূর করতে হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কার না হলে মধ্য মেয়াদে প্রবৃদ্ধি অর্জনে ঝুঁকিতে পড়বে।
আইএমএফ রাজস্ব আয় বাড়ানো, রাজস্ব প্রশাসন আধুনিকায়ন এবং উৎপাদনমুখী বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি করতে সরকারের নীতি কাঠামো সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ক্ষত সারিয়ে অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড় করাতে সরকারের সহযোগিতা জরুরি। সেই সঙ্গে বিদ্যমান দুর্বলতাগুলোও কাটিয়ে উঠতে হবে। এ জন্য রাজস্ব খাতের আধুনিকায়ন, রাজস্ব ব্যয়ের যৌক্তিকীকরণ, সঞ্চয়পত্রকে বাজেটের সরাসরি অর্থায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত না রাখা এবং জ্বালানির দাম নির্ধারণে একটি আধুনিক ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার সুপারিশ করেছে আইএমএফ।