পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে শান্তিরক্ষা মিশনে কোনো প্রভাব পড়বে না। জাতিসংঘ যখন শান্তিরক্ষী নেয়, যাচাই-বাছাই করেই নেয়। সুতরাং এ নিয়ে তাঁরা চিন্তিত নন।
আজ মঙ্গলবার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।বিজ্ঞাপন
আব্দুল মোমেন বলেন, দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং তাদের বিদেশি বন্ধু ও লবিস্টদের বাংলাদেশ নিয়ে অনেক দিন ধরে অপপ্রচারের কারণে র্যাবকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে নিষিদ্ধ করার জন্য দাবি জানিয়েছে ১২টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। সংস্থাগুলোর চিঠির কারণে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কোনো প্রভাব পড়বে না বলেও মনে করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক দিন ধরে আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, তাদের বিদেশি বন্ধু কিংবা তাদের লবিস্ট বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সেসব অপপ্রচারের কারণে ১২টি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান র্যাবকে নিষিদ্ধ করার জন্য গত নভেম্বর মাসে জাতিসংঘে একটি চিঠি দিয়েছে। জাতিসংঘ এটা নিয়ে কিছু করেনি। চিঠি পেয়েছে, রেখে দিয়েছে। তারা চিঠি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে। আমরা দেখি এটা নিয়ে কী করা যায়।’
বিদেশে বাংলাদেশের বিপক্ষে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে কি না, তা জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘যারা দেশের অপপ্রচার করে, তাদের অনেকে না জেনে করে। আবার অনেকে জেনে করে। প্রবাসে এত অপপ্রচার, কিন্তু তার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। এগুলো খুবই দুঃখজনক। দেশে বিভিন্ন দলমত থাকতে পারে। এক দল আরেক দলের নীতি গ্রহণ নাও করতে পারে। কিন্তু সে জন্য দেশের ক্ষতি করতে আমাদের কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান আগাগোড়া লেগে থাকে। এটা খুব দুঃখজনক। এগুলো করার জন্য বিদেশিদের টাকা দেয়। তাদের বলে, এ দেশে যত ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা, তা বন্ধ করে দেন।’