সুনামগঞ্জে ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় দ্বিতীয় দফা বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জেলা সদরের সঙ্গে ছাতক, জামালগঞ্জ, বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুরের যোগাযোগ বিছিন্ন রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সকালে সুরমা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি বৃদ্ধি পেয়ে ইতোমধ্যে সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, দোয়ারা বাজার, ছাতক, জামালগঞ্জ, শান্তিগঞ্জসহ ৭ উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। ফলে মানুষের বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা প্লাবিত হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বন্যা কবলিত মানুষরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফের বন্যায় প্লাবিত হয়েছে সুনামগঞ্জ পৌর শহরসহ ৭টি উপজেলা। ইতোমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। সুনামগঞ্জ পৌর শহরের মূল ৫টি পয়েন্টে পানি থাকায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
এদিকে ঢলের পানি বাড়তে থাকায় পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। পানিবন্দি মানুষেরা জানান, সুনামগঞ্জে প্রথম দফা বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই এখন আবার দ্বিতীয় দফা বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় আমরা খুব কষ্টে আছি।
জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রতিটি উপজেলায় আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এবার গত ১৩ মে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে প্রথম দফা বন্যা দেখা দেয়। প্রথম দফা বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার দ্বিতীয় দফা বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় মানুষজন বিপাকে পড়েছে।