মানবদেহে প্রথম ধাপের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ছাড়পত্র পেয়েছে দেশীয় কোম্পানি গ্লোব বায়োটেকের তৈরি করোনার টিকা বঙ্গভ্যাক্স।
রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বঙ্গভ্যাক্স ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব।
তিনি বলেন, ৬০ জনকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) শুরু হবে এই ট্রায়াল।
দেশি কোম্পানি গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড টিকা উৎপাদনের চেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই লড়াইয়ে আছে। এর আগে বানরের দেহে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ভালো ফল পাওয়ার কথা জানিয়েছিল তারা।
গত বছরের ১ নভেম্বর বানরের দেহে বঙ্গভ্যাক্স পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফলের প্রতিবেদন বিএমআরসিতে জমা দেয় কোম্পানিটি। এরপর ২১ নভেম্বর ন্যাশনাল রিসার্চ ইথিকস কমিটি বৈঠকে বসে। সেই বৈঠক থেকেই টিকাটি মানবদেহে পরীক্ষার অনুমোদন পায়।
গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন সে সময় গণমাধ্যমকে জানান, বঙ্গভ্যাক্স টিকা এক ডোজের। এটি প্রাকৃতিক বিশুদ্ধ এমআরএনএ (মেসেঞ্জার রাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড) দিয়ে তৈরি। তাই এটি সবচেয়ে বেশি নিরাপদ ও কার্যকর হওয়ার সুযোগ রয়েছে। ইঁদুরের দেহে টিকাটি পরীক্ষা করে ৯৫ শতাংশ কার্যকারিতা পেয়েছে গ্লোব বায়োটেক।
তিনি আরও জানান, টিকাটি শতভাগ নিরাপদ বলেও প্রমাণিত হয়েছে। এরপর বিএমআরসির নির্দেশনা অনুসারে বানরের দেহে পরীক্ষা চালানো হয়। প্রাথমিক ফলাফলে বানরের দেহে সম্পূর্ণ নিরাপদ ও কার্যকর অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। পরে বানরের দেহে চ্যালেঞ্জ ট্রায়ালে দেখা যায়, করোনার যতগুলো ভ্যারিয়েন্ট এসেছে তার সবকটিতেই টিকাটি শতভাগ কার্যকর।
বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব ফার্মার সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক ২০২০ সালের ২ জুলাই করোনা টিকা তৈরির কথা জানায়। এরপর খরগোশের ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগে সফল হয়েছে দাবি করে মানবদেহেও পরীক্ষামূলক প্রয়াগ শুরুর জন্য জানুয়ারিতে বিএমআরসিতে আবেদন করে প্রতিষ্ঠানটি। তখন বিএমআরসি বানর কিংবা শিম্পাঞ্জির ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে সংশোধিত আবেদন জমা দিতে বলে। তা মেনে ৫৬টি বানরের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে প্রতিবেদন দেয় তারা।