নিজস্ব প্রতিবেদক: সবার প্রশ্ন ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিঃ বাস্তবায়নাধিন ইএসপিএসএন (জিজি) প্রকল্প 2046841.৯৭ লক্ষ টাকার সরকারের মেগা প্রকল্পের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর একজন কানাডিয়ান নাগরিক কিভাবে হয়? যার বাংলাদেশের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা নেই, যার স্ত্রী কানাডার বিতর্কিত বেগম পাড়ার বাসিন্দা। তিনি ব্যাপক দূর্নীতি করে কানাডায় চলে গেলে তাকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে না।
অভিযোগ রয়েছে তিনি বিষয়টি জেনে ব্যপক দূর্নীতি করে যাচ্ছেন, যার দু- একটি কাজের কথা নিচে উল্লেখ করা হলো। প্রজেক্ট ডাইরেক্টর মোঃ মাহাবুবুর রহমান এর কানাডিয়ান নগরিকত্ব এর বিষয়ে স্মারক নং:
২৭,৮৭,০০০0.808,99,00৯.১৮.৩২১; তারিখঃ ২২ মার্চ, ২০২১, স্মারক নংঃ 27.87,0000,804,99,009, 18 ৪৬৬; তারিখঃ ১১ মে, এবং স্মারক নং ২৭.৮৭.0000. 404.99.009.18.524 27 মে, ২০২১ মোতাবেক ডিপিডিসি হতে তাকে পত্র প্রদান করা হয়, কিন্তু ক্ষমতার দাস্টের কারনে তার কিছুই হয়নি, শুধু পত্র প্রদান পর্যন্ত (এখানে ডিপিডিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালকও অসহায়)। পিয়ন থেকে মন্ত্রী সবাইকে তিনি মানেজ করে ফেলেন।
জানাযায় প্রকল্পের চুক্তি অনুযায়ী ব্যাটারী ও ব্যাটারী চার্জার হবে SAFT/ FIAMM / SOCOMEC/ NIFE/ Emisa/ Alcod Country of Oirgin Europe / USA। কিন্তু ঠিকাদারের চাহিদামত উক্ত কোম্পানীগুলি ব্যাটারী চার্জার তৈরী করে না এমন অজুহাত তুলে কোন যাচায় ছাড়ায় প্রজেক্ট ডাইরেক্টরের ও ঠিকাদারের পছন্দের কোম্পানী তালিকা প্রস্তুত করে। তা গ্রহণ করার নিমিত্তে যাচায় করার জন্য ডিপিডিসি’র প্লানিং ও ডিজাইন দপ্তরে প্রেরণ করা হয়। ডিজাইন দপ্তর হতে তিনটি কোম্পানী i) Teletechnica (Itali) ii) Borry (Itali) iii) Benning (Germany) তালিকাভূক্ত করার সুপারিশ করেন। যা ডিপিডিসি বোর্ড কর্তৃক অনুমোদন নেয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু বিপুল পরিমান অর্থের বিনিময়ে প্রজেক্ট ডাইরেক্টর ও তার কিছু অনুসারীদের দিয়ে বোর্ড মিটিং এ শুধু i) Teletechnica (Itali) এর নাম প্রস্তাব করিয়ে বোর্ড হতে অনুমোদন নেন।
চুক্তি অনুযায়ী ডিস্ট্রিবিউশন ট্রান্সফরমার এর ভেন্ডর Local/TBEA Country of Oirgin Bangladesh/Chaina। ঠিকাদার ট্রান্সফরমারগুলি চায়না হতে আনতে চেয়েছিল, কিন্তু প্রজেক্ট ডাইরেক্টর প্রভাব খাটিয়ে বাংলাদেশ থেকে ট্রান্সফরমার নেয়ার ব্যাবস্থা করেন। প্রথমে তার উদ্দেশ্য দেশের জন্য ভাল মনে যখন ট্রান্সফরমার কোম্পানী নির্বাচন করা হয় তখন তার উদ্দেশ্য পরিষ্কার হয়। তিনি অতি গোপনীয়তার সাথে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করে সরকারী প্রতিষ্ঠান জেনারেল ইলেক্ট্রিক কোম্পানীকে বাদ দিয়ে i) AB power ii) Powerman (উতপল) iii) Protec iv) Energypac এর মত নাম না জানা কোম্পানী তালিকাভূক্ত করার সিদ্ধান্ত এককভাবে নিয়েছেন। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান উপরক্ত প্রতিটি কোম্পানীর সাথে তার বিশেষ সক্ষতা আছে।
এর আগেও কানাডারস্থায়ী নাগরিক মাহবুব ভুতুড়ে বিলসহ নানা কারণে আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। তিনি ডিপিডিসির তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী দায়িত্ব পালনের সময়ও দুর্নীতি ও লুটপাটের বিষয়টি এখন ওপেন সিক্রেটে ছিলো। প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান ডিপিডিসির প্রকিউরমেন্ট বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় ব্যাপক অনিয়ম দূর্ণীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। মাহবুবুর রহমান ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত
এরআগে বিদেশী নাগরিক হওয়ায় প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমানকে চাকরি থেকে বরখাস্তে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়ে।নোটিশে বলা হয়, মাহবুবুর রহমান বর্তমানে জিটুজির প্রধান প্রোকৌশলী এবং চুক্তি ও ক্রয়-সংক্রান্ত সার্কেলে দায়িত্ব পালন করছেন। চাকরিতে থাকাবস্থায় তিনি কানাডার নাগরিকত্ব অর্জন করেন। ডিপিডিসি সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং মাহবুবুর রহমান একজন সরকারি চাকরিজীবী হওয়ায় কোনোভাবেই অন্য কোন দেশের নাগরিকত্ব অর্জনের সুযোগ নাই। সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪০ ধারা অনুযায়ী অন্য কোন দেশের নাগরিকত্ব অর্জন করার সাথে সাথেই যেকোনো সরকারি চাকরিজীবীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়ার কথা। কিন্তু মাহবুবুর রহমান দীর্ঘদিন যাবত কানাডার নাগরিকত্ব গ্রহণ করার পরেও সরকারি চাকরিতে বহাল রয়েছেন যাহা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, যেহেতু মাহবুবুর একজন সরকারি চাকরিজীবী এবং কানাডার নাগরিকত্ব অর্জন করেছেন সেহেতু সরকারি চাকরিতে তার থাকার কোন অধিকার নেই। আইন অনুযায়ী অবশ্যই তাকে বরখাস্ত করতে হবে। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানার অধিবাসী আজরাফ বিন আকরামের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার এই নোটিশ পাঠিয়েছেন। এ বিষয়ে ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ফোন ও খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমানের সবসময় দাবী করেন জ্বালানী সচিবকে তিনি কয়েক কোটি টাকা দিয়ে শখ্যতা গড়ার কারনে যত অভিযোগই তার বিরুদ্ধে আসুক তার চাকুরীতে কেউ কোনো ধরনের বাধা দিতে পারবেনা। এসব বিষয়ে মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রীও কোথাও কোথাও অসহায় বলে উল্লেখ করেন নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা। তিনি জানান প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার এই প্রজেক্টের কাজ বিদ্যূৎ জ্বালানী মন্ত্রনালয়ের অধিনে হলেও মাহবুবুর রহমানের মত বড় কর্মকর্তাদের দূর্ণীতি এবং স্বেচ্ছাচারীতা থাকার পরেও মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রীর কিচ্ছু করার নেই। কারন এই প্রজেক্টে সব ধরনের খবরদারী করেন একজন শীর্ষ পদের সচিব। আর সেই সচিবের সাথে মাহবুবুর রহমানের শখ্যতা থাকায় প্রতিমন্ত্রী এবং সচিবরা সব জানার পরেও দ্বতৈ নাগরিক মাহবুবুর রহমান বারবার পার পেয়ে যাচ্ছে। তবে বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ আদালতের রীটের কথা ভাবছে বলেও জানান সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।