জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের সঙ্গে দেখা করেছেন দলটির চেয়ারম্যান বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে গিয়ে রওশন এরশাদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। জিএম কাদের এ সময় অসুস্থ রওশন এরশাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। পরে দুজন এক টেবিলে বসে নাশতাও করেন। জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু, রওশন এরশাদের ছেলে সাদ এরশাদ এমপি এবং তার স্ত্রী মহিমা সাদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে দীর্ঘ পাঁচ মাস চিকিৎসা শেষে গত রোববার দেশে ফেরেন রওশন এরশাদ। তিনি দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, জাতীয় পার্টিতে কোনো সমস্যা নেই। জিএম কাদেরসহ দলের সবার সঙ্গে আলোচনা করে সব ধরনের ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটানো হবে।
রওশন এরশাদ দেশে ফেরার পর সোমবার রাতে তাকে টেলিফোন করে শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন জিএম কাদের। ফোনেই জিএম কাদের রওশন এরশাদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে অবহিত করেন।
এর আগে গত জুনে রওশন এরশাদ একবার ব্যাংকক থেকে দেশে এসেছিলেন। তখনো তিনি গুলশানের নিজের বাসায় না উঠে গুলশানে অবস্থিত ওয়েস্টিন হোটেলে ছিলেন। সেখান থেকে গত ৫ জুলাই তিনি আবার চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক যান। এবার দেশে ফিরে তিনি ওই হোটেলেই উঠেছেন।
এ প্রসঙ্গে রওশন এরশাদ মঙ্গলবার বলেন, ‘সকালে জিএম কাদের আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। সে আমার শারীরিক অবস্থার খবর নিয়েছে। আমরা আন্তরিক পরিবেশে কথা বলেছি। ঐক্যবদ্ধ এবং শক্তিশালী জাতীয় পার্টি গড়ে তুলতে আমাদের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, কোনো ধরনের বিভেদ বা বিভক্তি নয়- ঐক্যবদ্ধভাবেই জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করে আরও এগিয়ে নিতে হবে।
রওশন এরশাদ এবং জিএম কাদেরের সাক্ষাৎ নিয়ে সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা মঙ্গলবার বলেন, জিএম কাদের রওশন এরশাদের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। তারা দুজন একান্তে কথাও বলেন। পরে এক টেবিলে বসে নাশতা করেছেন। সেখানে শুধু তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি দলের অভ্যন্তরেই কিছু ঝামেলা থাকে। তবে রওশন এরশাদ ও জিএম কাদেরের মধ্যে কোনো দূরত্ব ছিল না। তারা সব সময় একসঙ্গেই ছিলেন। আসলে জিএম কাদের দলকে একটা ভালো জায়গায় নিয়ে গেছেন। এটা অনেকে ভালো চোখে দেখছেন না। তাই নেপথ্যে থেকে কিছু সঙ্কট তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।