বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসে শাহজাহানপুরের বাসা পুলিশ ঘিরে রেখেছে বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস। তবে পুলিশ বলছে, মির্জা আব্বাসের স্ত্রীর দাবি সঠিক নয়।
সোমবার সকালে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি ও মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস তাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের দাবি করেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আফরোজা আব্বাস বেলা ১১টার দিকে আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন যে, তাদের শাজাহানপুরের বাসা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। পরে পুলিশ সরে গেছে কিনা সেই তথ্য আমার কাছে নেই।
ডিএমপি মতিঝিল বিভাগের ডিসি উপ-পুলিশ কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, ‘না এই ধরনের কোনো খবর আমি পাইনি।’
শাহজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন মোল্লা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটা শতভাগ মিথ্যা কথা। আমরা তাদের বাড়ি ঘিরে রাখতে যাব কেন? তিনি একটা মিথ্যা দাবি করেছেন।’
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রেস ব্রিফিং করার কথা ছিল মির্জা আব্বাসের।
বের হতে না পেরে মির্জা আব্বাস পরে গণমাধ্যমকে বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে ১০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। নিজের বাসার মধ্যে কর্মী সভা করতে দিচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় নিজ বাসায় নিরাপদবোধ করছি না বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে তল্লাশি চৌকি, নেতাকর্মীদের গ্রেফতার-হয়রানি, আমার বাসা ঘেরাও সবই একই সূত্রে গাঁথা। মির্জা আব্বাস বলেন, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ বানচাল করতে ভয় পেয়ে সরকার এসব করছে।
বাসা ঘেরাও করে ১০ ডিসেম্বর বিএনপির গণসমাবেশ দমানো যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় প্রবেশের রাস্তায় চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, হঠাৎ করে রাত সাড়ে ৯টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের ৭৯ নম্বর রোডের ১ নম্বর বাসভবনে (ফিরোজায়) অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং এই সড়কের দুই পাশেই চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণসমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। তারা নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ করতে চান। তবে পুলিশ ২৬টি শর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে। বিএনপি নয়াপল্টনেই সমাবেশ করতে অনড়।