রাজধানীর খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জনিকে আট বছর আগে ‘ক্রসফায়ারের নামে হত্যার’ অভিযোগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ ১৫ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু (নিবারণ)’ আইনে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
জনির বাবা ইয়াকুব আলী সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ মামলার আবেদন করেন।
বাদীর আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান বাদীর জবানবন্দি শুনে বিষয়টি আদেশের জন অপেক্ষমাণ রেখেছেন।
মামলার আবেদনে আছাদুজ্জামান মিয়া ছাড়া অপর আসামিরা হলেন- চট্টগ্রামের বর্তমান পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, ডিবির রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার হাসান আরাফাত, মো. জাহিদুল হক তালুকদার, ডিবির রমনা জোনের এসআই দীপক কুমার দাস, ডিবির পুলিশ পরিদর্শক ফজলুর রহমান, ওহিদুজ্জামান, এসএম শাহরিয়ার হাসান, ডিবির এসআই শিহাব উদ্দিন, বাহাউদ্দিন ফারুকী, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, ডিবির কনস্টেবল মো. সোলাইমান, আবু সায়েদ, মো. লুৎফর রহমান ও খিলগাঁও থানার এসআই মো. আলাউদ্দিন।
জনির মৃত্যুর সময় তারা সবাই ঢাকার মহানগর পুলিশে কর্মরত ছিলেন।
২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তিলপাপাড়ার জোড়পুকুরমাঠ এলাকায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন নুরুজ্জামান জনি (৩০)।
খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জনি বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।