মস্কোয় নিয়োজিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসানকে তলব করেছে রাশিয়া। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় রুশ জাহাজের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে তাকে তলব করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা মস্কোয় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে বলেছে, এ পদক্ষেপ ‘ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্ভাবনায় বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। খবর রয়টার্সের।
রাশিয়ার সাতটি কোম্পানির ৬৯টি জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। পরে রাশিয়ার যেসব জাহাজ মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় রয়েছে, সেসব জাহাজ বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় ঢাকা। মস্কোকে এই প্ল্যান্টের জন্য সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য অনুমোদিত জাহাজ ব্যবহার করতে বলা হয়।
ইউক্রেইনে রুশ আক্রমণের জেরে রাশিয়ার ওপর বেশি কিছু বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা। সেই তালিকায় রাশিয়ান ব্যাংক, জাহাজ ও পণ্য রয়েছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে আন্তর্জাতিক লেনদেন যোগাযোগ পরিষেবা সুইফটও রাশিয়ার ব্যাংকের সঙ্গে সব ধরনের আর্থিক লেনদেন বন্ধ রেখেছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশও রাশিয়ার সঙ্গে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন করতে পারছে না। আবার রূপপুরে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে কাজ করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন রোসাটম। ২০২৪ সাল থেকে ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এর অংশ হিসেবে যন্ত্রপাতির চালান নিয়ে জানুয়ারিতে আসে ‘উরসা মেজর’। কিন্তু কূটনৈতিক চাপে জাহাজটি পণ্য খালাসের অনুমতি পায়নি। পরে জাহাজটি ভারতের হলদিয়া বন্দরে খালাসের জন্য গেলে সেখানেও সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত মালামাল নিয়ে ফিরে যায় রাশিয়ার জাহাজটি।