জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, দেশে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলেই দোষারোপের রাজনীতি শুরু হয়। আজ বৃহস্পতিবার জাপার বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় মহিলা পার্টি আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আলোচনায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
জি এম কাদের বলেন, ‘সরকারি দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিরোধীপক্ষ আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নাশকতা করছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি নাশকতা হয়েই থাকে, তাহলে সরকার নাশকতা ঠেকাতে পুরোপুরি ব্যর্থ। নাশকতা ঠেকাতে যারা ব্যর্থ হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
সিদ্দিকবাজারের ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় স্বজনহারাদের প্রতি সহানুভূতি না জানিয়ে দেশে আনন্দ ফুর্তি চলছে’ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভয়াবহ এই বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় দেশের মানুষ শোকাহত। স্বজনহারাদের আহাজারি চলছে। এক দিকে আহাজারি, অন্যদিকে আনন্দ ফুর্তি চলছে।’
‘দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে স্বজনহারাদের প্রতি সহানুভূতি জানানো যেত’ উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, ‘এখন ব্যর্থতা ঘোচাতে অপরকে দোষারোপ করা হচ্ছে। আমরা নিহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে দাবি জানাচ্ছি। যারা এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘যাদের ব্যর্থতা, অবহেলা, দায়িত্বহীনতা এবং দুর্নীতির কারণে এমন ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। একটি দুর্ঘটনা ঘটলে তা থেকে শিক্ষা নিতে হয়, যাতে এমন আর না ঘটে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত রিপোর্ট কেউ জানে না। কে দায়ী? বা দায়ীর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তা কেউ জানতে পারে না। এখন সব কিছুতেই গলদ।’
‘ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড মানা হচ্ছে না’ উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘গ্যাসের লাইন বৈধ নাকি অবৈধ তার ঠিক নেই। এগুলো দেখাশোনার দায়িত্বে যারা, তাদের খোঁজ নেই। এত বড় বড় দুর্ঘটনা ঘটছে কিন্তু কারণ উদ্ঘাটন করা সম্ভব হচ্ছে না। এর চেয়ে বড় ব্যর্থতা আর হতে পারে না। সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করতে হলে আগে ক্ষমতার বৈষম্য দূর করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে পারলেই দেশ থেকে বৈষম্য দূর করা সম্ভব হবে।’