সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর নিখোঁজ ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শিব্বির আহমেদের (২১) খোঁজ মিলেছে। রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত দিনাজপুর থেকে তাকে উদ্ধার করেছে ময়মনসিংহ থানা পুলিশ।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ কামাল আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শিব্বির আহমেদ জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নে বানিয়াবাড়ী এলাকার আব্দুল্লাহ আল-ফারুকের ছেলে।
তিনি ময়মনসিংহ শহরের মীরবাড়ি কলেজ রোড এলাকায় একটি মেস থাকতেন। গত শুক্রবার সকালে ফোন দিয়ে বাড়ি আসার কথা জানান। এর আগে ফেসবুকে কয়েকটি স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসগুলোতে লেখা—‘আব্বু আম্মু ক্ষমা করে দিও, আজ বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল, আপু মুশাব্বিরের প্রতি খেয়াল রাইখ’, ‘ভালো থাকবে জায়গা, সুখে থাকবে শহর’, ‘ঘর, পরিবার, জায়গা ক্ষমা করে দিও’ এবং ‘আল বিদা’।
সর্বশেষ সকাল ৭টায় বাড়িতে মোবাইল ফোনে জানান, ময়মনসিংহ থেকে ট্রেনে বাড়ি ফিরছেন। কিন্তু এরপর স্ট্যাটাস দেখে পরিবারের লোকজন তার মোবাইল ফোনে কল দেওয়ার চেষ্টা করলে বন্ধ পায়। পরে মেস ও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়েও পাওয়া যাচ্ছিল না। ওই দিন রাতেই কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার পরিবার। তারপর থেকে পুলিশ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে খুঁজতে থাকে।
শিব্বিরের খালাতো ভাই মুত্তাছিম বিল্লাহ বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছিলাম সে আত্মহত্যা করার মতো ছেলে না। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে তাকে অক্ষত অবস্থায় রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় খুঁজে পেয়েছি। অভিমান করে সবার আড়ালে চলে গিয়েছিল। এ ছাড়া অন্য কিছু না।’
শিব্বিরের খালাতো ভাই মুত্তাছিম বিল্লাহ বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছিলাম সে আত্মহত্যা করার মতো ছেলে না। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে তাকে অক্ষত অবস্থায় রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় খুঁজে পেয়েছি। অভিমান করে সবার আড়ালে চলে গিয়েছিল। এ ছাড়া অন্য কিছু না।’
ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, শিব্বির মা-বাবার সঙ্গে অভিমান করে দিনাজপুর চলে গিয়েছিলেন। নিখোঁজের পর থেকে তাকে বিভিন্নভাবে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। পরে মোবাইল ফোনের কলের সূত্র ধরে দিনাজপুরে সন্ধান মিলেছে।