নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে বসেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। দলটির সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আজ বুধবার বিকাল চারটার দিকে বঙ্গভবনে প্রবেশ করে।বিজ্ঞাপন
গত সোমবার জাতীয় পার্টি প্রথম দল হিসেবে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে করে। আজ দ্বিতীয় দল হিসেবে জাসদ অংশ নিয়েছে। রাষ্ট্রপতি পর্যায়ক্রমে দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসবেন। সংলাপ শেষে সার্চ কমিটি গঠন করতে পারেন রাষ্ট্রপতি। এই কমিটিই রাজনৈতিক দলগুলো থেকে নাম নিয়ে একটা সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করবে। সেখান থেকে সিইসিসহ কমিশনারদের নির্বাচন করবেন রাষ্ট্রপতি। ২০১২ ও ২০১৭ সালে একই প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়।
তবে এবার নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে আইন প্রণয়নের দাবি তুলেছে বিভিন্ন সংগঠন। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন পেতে আইন করার বিকল্প নেই বলে অভিমত দিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, টিআইবি। প্রথম দিনের সংলাপে জাতীয় পার্টিও রাষ্ট্রপতির কাছে এই দাবি তুলেছে।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ফলে এর আগেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক জাসদ। সংলাপে এই দলটির অন্য যে সব নেতা অংশ নিয়েছেন তারা হলেন—শিরীন আখতার, রবিউল আলম, মীর হোসাইন আক্তার, মোশারফ হোসেন, শাহ জিকরুল আহমেদ ও রেজাউল করিম তানসেন।
বঙ্গভবনের নির্দেশনা অনুযায়ী, সংলাপে অংশ নিতে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করতে হচ্ছে। করোনা সংক্রমণের কারণে এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংলাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জাতীয় পার্টি ও জাসদ ছাড়া আরও কয়েকটি দলের সঙ্গে সংলাপের দিন–ক্ষণ নির্ধারণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২৬ ডিসেম্বর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, ২৭ ডিসেম্বর তরিকত ফেডারেশন ও খেলাফত মজলিস, ২৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, ২৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) ও ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে সংলাপ করবেন রাষ্ট্রপতি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপির সঙ্গে সংলাপের তারিখ এখনো ঠিক হয়নি।