ফেনীর পরশুরামের মির্জানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভুট্টুর পিটুনিতে যুবক নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে ছাত্রলীগ নেতা সোহাগকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে শরীফ নামে আরেক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভুট্টুসহ দুজন পলাতক রয়েছেন
বৃহস্পতিবার রাতে মির্জানগর ইউনিয়নের উত্তরবাজার এলাকার সাবেক মেম্বার বাবুলের দোকানে আসামিরা শাহীন চৌধুরী নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে।
শাহীন চৌধুরী ওই এলাকার মৃত আবদুর রহমানের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাহীন চৌধুরী সাবেক ইউপি সদস্য বাবুলের রড-সিমেন্টের দোকানে কাজ করতেন। ওই দোকান থেকে চেয়ারম্যান ভুট্টুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হাশেম সাত লাখ টাকার মালামাল বাকিতে নিয়ে যান।
শাহীন সেই পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় হাশেম ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভুট্টুকে ঘটনাটি জানান। পরে ভুট্টু চেয়ারম্যান ও স্থানীয় শাখাওয়াত হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ, শরীফসহ বেশ কয়েকজন লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে শাহীনকে বেধড়ক মারধর করেন।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পরশুরাম মডেল থানার ওসি খালেদ হোসেন জানান, এ ঘটনায় চারজনের নামে মামলা হয়েছে। পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। মামলার প্রধান আসামি ভুট্টু চেয়ারম্যান ও শাখাওয়াত হোসেন পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।