নতুন বছরের শুরুতেই সুখবর পেতে যাচ্ছেন প্রবাসীরা। তাঁদের প্রবাস আয়ে (রেমিট্যান্স) প্রণোদনা বাড়ানো হচ্ছে। বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠালে প্রবাসীদের ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হবে। আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে এটি কার্যকর হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন বছরের প্রথম দিন বাণিজ্য মেলা উদ্বোধনের সময় প্রবাসীদের এ সুখবরের ঘোষণা দিতে পারেন। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বৈধ পথে রেমিট্যান্সকে উৎসাহিত করতে ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাস আয় পাঠালে ২ শতাংশ করে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এতে দেশে বৈধভাবে টাকা পাঠানো অনেক বেড়েছে। বিভিন্ন দেশে থাকা এক কোটির বেশি বাংলাদেশির পাঠানো অর্থ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জিডিপিতে সব মিলিয়ে রেমিট্যান্সের অবদান প্রায় ১২ শতাংশ।
প্রণোদনার কারণে করোনার মধ্যেও অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গত ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার প্রবাস আয় আসে। আগের অর্থবছরের চেয়ে এই অর্থ ৩৬.১ শতাংশ বেশি। কিন্তু চলতি অর্থবছরে প্রবাস আয়ে কিছুটা ভাটা পড়েছে। জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এসেছে ৮৬১ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল এক হাজার ৯০ কোটি ডলার। এই পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স আসার অঙ্ক কমছে ২২৯ কোটি ডলার বা ১৯ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা।
সর্বশেষ গত নভেম্বরে দেশে প্রবাস আয় এসেছে মাত্র ১৫৫ কোটি ডলার, যা গত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) প্রবাস আয় কমেছে প্রায় ২১ শতাংশ।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রবাস আয় কমে যাওয়ায় সরকার কিছুটা উদ্বিগ্ন। এ জন্য প্রণোদনা কিছুটা বাড়ানো হচ্ছে। আগামী বছরের জুলাই থেকে প্রবাসীরা ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা পাবেন। এখন ১০০ টাকা দেশে বৈধভাবে পাঠালে যেখানে ১০২ টাকা পান, সেখানে জুলাই থেকে ১০২.৫ টাকা পাবেন।
বর্তমানে প্রণোদনা বাবদ চার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে সরকার। আগামী অর্থবছরে প্রণোদনার জন্য বাড়তি আরো দুই হাজার কোটি টাকা বেশি ব্যয় করতে হবে সরকারকে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে এ জন্য বরাদ্দ রাখা হবে।