নতুন বছরের শুভেচ্ছাবার্তায় এই আশাবাদ জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস।
নতুন বছরের উদ্বোধনী এক বিবৃতিতে গেব্রিয়েসুস সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদ এবং টিকা মজুদের বিরুদ্ধে বিশ্বকে সতর্ক করে দেন।
গেব্রিয়েসুস বলেন, কিছু দেশের সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদ এবং টিকা মজুদ করার প্রবণতার কারণে টিকা বিতরণে সমতা ক্ষুন্ন হচ্ছে এবং এতে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার মোক্ষম পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
মহামারিকে বিদায় জানানোর জন্য সবার আগে প্রয়োজন বিশ্বজুড়ে টিকা বণ্টনে সমতা- উল্লেখ করে শুভেচ্ছাবার্তায় গেব্রিয়েসুস বলেন, মহামারির বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত আমাদের হাতে থাকা সবচেয় কার্যকর হাতিয়ার হলো করোনা টিকা; কিন্তু সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদ ও টিকা মজুত করার প্রবণতার কারণে বিশ্বজুড়ে করোনা টিকা বণ্টনে অসমতা সৃষ্টি হয়েছে এবং এটি দিনকে দিন বাড়ছে।
চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রায় দুই বছর আগে করোনাভাইরাস শাক্ত হয়েছিল। অর্থাৎ শনাক্ত হওয়ার দুই বছর পর করোনার বিদায় নিয়ে কথা বললেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান।
তিনি যখন করোনার পরাজিত হওয়ার কথা বলছেন তখন বিশ্বজুড়ে প্রায় ২৯ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন প্রায় ৫৫ লাখ মানুষ।