বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিটে এক রোগীর করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় আপাতত সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সংক্রমণ এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার দুপুরে হাসপাতালের পরিচালক এইচ এম সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
হাসপাতালের পরিচালক এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিটের একজন রোগী করোনা পজিটিভ হওয়ায় সংক্রমণ এড়াতে দুই দিন ডায়ালাইসিস ইউনিটটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোগীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডায়ালাইসিস কিটের কোনো সংকট আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাসপাতালে কিটের কোনো সংকট নেই।বিজ্ঞাপন
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার হাসপাতালের কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিটে একজন রোগী ডায়ালাইসিসের জন্য আসেন। পরে তাঁর নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এরপর আজ থেকে ইউনিটটি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২০ সালের ১২ মে শের-ই–বাংলা মেডিকেলে কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিটটি চালু হয়। প্রতিষ্ঠার ৫২ বছর পর ডায়ালাইসিস ইউনিট চালু হওয়ায় এ অঞ্চলের গরিব–অসহায় রোগীরা স্বস্তি ফিরে পান। এই ইউনিটে ১০টি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। এতে ২৪ ঘণ্টায় ৫০ জন রোগীকে ডায়ালাইসিস করা সম্ভব।
হাসপাতালের নেপ্রোলজি বিভাগ সূত্র জানায়, কিডনি রোগীদের ছয় মাসে (প্রতি সপ্তাহে দুবার) ৪৮ বার ডায়ালাইসিস প্যাকেজ প্রোগ্রামে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে ২ লাখ ৪০ হাজার থেকে আড়াই লাখ টাকা ব্যয় হয়। কিন্তু উন্নত যন্ত্রপাতি দিয়ে শের-ই–বাংলা মেডিকেলে ছয় মাসের প্যাকেজ ডায়ালাইসিস করা যাচ্ছে মাত্র ২০ হাজার টাকায়। এতে রোগীরা অনেক উপকৃত হচ্ছেন।