সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে চট্টগ্রাম থেকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার স্থানান্তর করা হয়েছে। এখানকার হাই সিকিউরিটি পার্ট-৪-এর একটি কনডেম সেলে তাদের রাখা হয়েছে।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাদের কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এই কারাগারে আনা হয়। এরও আগে শনিবার তাদের কক্সবাজার কারাগার থেকে চট্টগ্রাম কারাগারে আনা হয়েছিল।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীকে প্রিজনভ্যানে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, রায় ঘোষণার পর প্রদীপ ও লিয়াকতকে কক্সবাজার কারাগারে নির্ধারিত পোশাক পরিয়ে কনডেম সেলে রাখা হয়। সেখান থেকে তাদের চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার ও বুধবার রাতে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে আনা হয়।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে মেজর সিনহা নিহত হন। নিহতের চার দিন পর ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার আদালতে মামলা করেন।
মামলায় বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি করা হয়। সেই সঙ্গে টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশকে দুই নম্বর আসামি করা হয়। মামলার তিন নম্বর আসামি করা হয় বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিতকে।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ মামলার তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়। এরপর সিনহা হত্যা মামলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।