যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিষ্টার তুরিন আফরোজ বলেছেন, বিএনপি বলছে তাদের সাথে জনগন আছে, তাহলে সেই জনসমর্থন নিয়ে তারা কেন নির্বাচনে আসছে না। গলায় রশি বেঁধে টেনে কাউকে নির্বাচনে আনা যায়না। আমাদের প্রত্যাশা হলো সব জায়গায় নির্বাচন হোক এবং সেটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হোক। বিএনপি আসুক, লড়াই হবে মাঠে।
তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ সবসময়ই চায় সকলের অংশগ্রহনে একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হোক। কিন্তু বিএনপি নির্বাচনে না এসে টকশোতে গলাফাটায়। যে নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না। আরে ভাই আগে নির্বাচনে আসুন তারপরে অভিযোগ করেন। টকশো করে সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানানো যাবে না। সরকারকে টেক্কা দিতে হলে, নির্বাচনে আসতে হবে।
যুক্তরাজ্য থেকে হাসিনা আক্তারের সঞ্চালনায় (৭ ফেব্রুয়ারী) আইপি টিভি টেবিল টকের উদ্যোগে আয়োজিত টকশো ‘সার্চ কমিটি গঠন, কোন দলের কি মত’ টকশোতে ব্যারিষ্টার তুরিন আফরোজ এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির বর্তমান সংসদ ফখরুল ইমাম এমপি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি আসিফা আশরাফি পাপিয়া।
এসময় তুরিন আফরোজ আরো বলেন, দীর্ঘকাল পরে আমারা কাঙ্খিত ইসি আইন পেয়েছি। আশা করি দ্রুতই সার্চ কমিটি একটা গ্রহনযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন উপহার দিবেন। কিন্তু একটা কমিটি গঠন হওয়ার আগেই দেখে নেয়ার হুমকি দেয়া অন্যায়। এটা একটি অবিচার। নতুন পাশ হওয়া ইসি আইন নিয়ে একটি টানাপোড়েন চলছে। আমি মনে করি আইন করলেই সব শেষ হয়ে যাবে এমন কিছু নয়। এটাও সংশোধন হতে পারে। সৌন্দর্যের শেষ নেই। আমাদের যে আস্থাহীনতার সংস্কৃতি তৈরী হয়েছে। সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সার্চ কমিটির উপর আস্থা রাখুন আশা করি ভাল কিছু হবে।
টকশোতে বিএনপির সাবেক সংসদ আসিফা আশরাফি পাপিয়া বলেন, সরকারের সব নেতিবাচক কর্মকান্ড জনগনের উপর ইতিবাচক হিসাবে চাপিয়ে দেয়া, দেশ ও জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা। ইসি আইন দরকার আছে, সেটা ঠিক আছে। কিন্তু এই আইনতো আওয়ামীলীগ মার্কা আইন হয়েছে। এখানে কারো কোন মতামত নেয়া হয়নি। নিজেরা নিজের ইচ্ছা মত, সুবিধামত একটা আইন তৈরী করে সেটা জনগনের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন যে সার্চ কমিটি করা হয়েছে সব সরকারের নিজের লোক। তাহলে এই কমিটি কেমন ইসি নির্বাচন করবেন সেটা আরা দেশবাসির জানার বাকী নেই। আবারও সেই হুদা কমিশন পেতে যাচ্ছে জনগন। এটা ছিলো নিছক একটা আইওয়াশ।
ফখরুল ইমাম বলেন, আসলে আমাদের নির্বাচন পদ্ধতিতে সংস্কার আনা উচিত। মহামান্য রাষ্ট্রপতি একটি সার্চ কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। কমিটিতে অনেক জ্ঞানী ব্যক্তি রয়েছে। এখন আমরা দেখি তারা কেমন কমিশন গঠন করে। আর একটা আইন হলে এটা নিয়ে এতো আলোচনার কিছু নেই। কারন সেটাতে যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে তা সংশোধন করা যাবে। অতিতেও অনেক আইন সংশোধন হয়েছে। সব মিলিয়ে আমি আশা করছি এই সার্চ কমিটির মাধ্যমে আমরা ভাল একটি কমিশন পাবো। এবং সেই কমিশনের অধিনে আগামী নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।