নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য যোগ্য ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে জমা দিয়েছেন সার্চ কমিটির সদস্যরা। এখন এই ১০ জনের মধ্য থেকে সিইসি ও চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করবেন রাষ্ট্রপ্রধান।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন সার্চ কমিটির পাঁচজন সদস্য। এরপর তারা রাষ্ট্রপতির হাতে নামের তালিকা তুলে দেন। তবে অসুস্থতার কারণে যেতে পারেননি কমিটির সভাপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
রাষ্ট্রপতির কাছে সার্চ কমিটি নাম তুলে দেওয়ার পর রাতে বঙ্গভবনের সামনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সার্চ কমিটির সদস্যরা রাষ্ট্রপতির কাছে নাম জমা দিয়েছেন এবং রাষ্ট্রপতি তা গ্রহণ করেছেন। এখন রাষ্ট্রপতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নির্দেশনা দেবেন। তবে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই এই পাঁচজনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।
গত ২৭ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রথমবারের মতো আইন প্রণয়ন করে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে দেন রাষ্ট্রপতি। এরপর সার্চ কমিটির প্রথম বৈঠকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ও সুধীজনের কাছ থেকে নাম আহ্বানের সিদ্ধান্ত হয়। একইসঙ্গে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠক আহ্বান করে সার্চ কমিটি। সরাসরি ও ইমেইলের মাধ্যমে সার্চ কমিটির কাছে প্রায় পাঁচশজনের নাম জমা পড়ে।
এসব নাম থেকে প্রথম দফায় ১৪ ফেব্রুয়ারি কমন নাম বাদ দিয়ে ৩২২ জনের তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এরপর বিশিষ্টজনদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের মাধ্যমেও বেশ কিছু নাম পায় সার্চ কমিটি। সেখানেও কিছু কমন নাম বাদ দিয়ে তালিকায় প্রস্তাবিত নামের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩২৯ জনে। এসব নাম থেকে একাধিক দফায় বৈঠক করে ২০ জনের নাম বাছাই হয়, দ্বিতীয় দফায় সেটা ১২-১৩ জনে আসে।
গত মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সার্চ কমিটির সর্বশেষ বৈঠকে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত হয়। কিন্তু এ দশজনের নাম প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নেয় সার্চ কমিটি।