দিনাজপুরে শনিবার (২৬) সকালে একটি হ্যান্ড গ্রেনেড পুকুরে পাওয়ার পর দুপুরে তা নিয়ে খেলছিল শিশুরা। ক্রিকেট বল হিসেবে খেলার সময় সেখানকার একজন সেটাকে বোমা হিসেবে চিহ্নিত করে। পরে বিকালে দেশ স্বাধীনের পূর্বে তৈরি ওই হ্যান্ড গ্রেনেডটির বিস্ফোরণ ঘটায় র্যাবের বোমা ডিসপোজাল ইউনিট। এ সময় বোমাটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়।
র্যাব জানায়, শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে গ্রেনেডটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এর আগে সকাল ১১টার দিকে চিরিরবন্দর উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের শেফালী বাজারের পূর্ব দিকে বৈকুন্ঠপুর গ্রামের শ্রী সরোজ কুমারের পুকুর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় হ্যান্ড গ্রেনেডটি উদ্ধার করা হয়।
চিরিরবন্দর থানার ওসি বজলুর রশিদ জানান, পুকুর খনন করতে গিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় ওই হ্যান্ড গ্রেনেড পাওয়া যায়। পরে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে র্যাবের বোমা ডিসপোজাল ইউনিট।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার বাসিন্দা সরোজ কুমারের পুকুরটি অনেক পুরোনো, তবে পুকুরটি নতুন করে খনন করছিল কয়েকজন শ্রমিক। এ সময় কাঁদার ভেতর গ্রেনেডটি পাওয়া যায়। প্রথম দিকে এটি গ্রেনেড বোমা কেউ বুঝতে না পেরে পুকুরের ওপরে পাড়ে ফেলে দেওয়া হয়। পরে সেখানকার শিশুরা ওই
বোমাটি নিয়ে খেলছিল। এরই মধ্যে সেটি গ্রেনেড হিসেবে চিনতে পেরে এলাকাবাসী আতঙ্কের মধ্যেই বিষয়টি চিরিরবন্দর থানা পুলিশকে অবহিত করে। খবর পেয়ে দুপুরে পুলিশ হ্যান্ড গ্রেনেডটি উদ্ধার করে রংপুর র্যাবের বোমা ডিসপোজাল ইউনিটকে অবহিত করে। পরে ইউনিটের সদস্যরা বিকালে সেটি নিষ্ক্রিয় করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
ওসি বজলুর রশিদ জানান, হ্যান্ড গ্রেনেডটি খুবই ছোট আকৃতির এবং তার গায়ে লেখা রয়েছে ১৯৬৬। ধারণা করা হচ্ছে, গ্রেনেডটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার।