সিলগালা ঠিক আছে, অথচ বন্ধ ওয়াগন থেকে উধাও হয়েছে প্রায় আড়াই টন গম। এমন রহস্যজনক ঘটনা ঘটেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে একটি ওয়াগন থেকে।
গত বুধবার খালাস শ্রমিকরা কাজে এসে ওয়াগন খুলে এই দৃশ্য দেখতে পান।
জানা যায়, খুলনার গম ব্যবসায়ী এসএম মোজাফফর রশিদী রেজা গত ২৮ ফেব্রুয়ারি খুলনার কেন্দ্রীয় খাদ্যগুদাম (সিএসডি) থেকে এক হাজার ৩৫০ টন গম সৈয়দপুরে নিয়ে আসেন। এসব গম সৈয়দপুরের সরকারি খাদ্যগুদামে স্থানান্তরের কাজ চলছে। ৩০টি মালবাহী ওয়াগনে আনা হয় এসব গম। প্রতিটি ওয়াগনে কমপক্ষে ৪৫ টন গম পরিবহণ হয়ে থাকে। মোজাফফর রশিদী বলেন, বুধবার সকালে খালাস করা শ্রমিকরা প্রতিদিনের মতো আনলোড কাজে যোগ দেন। এ সময় সবার উপস্থিতিতে ওয়াগনের সিল খুলে দেখা যায়, এর ভেতর থেকে প্রায় আড়াই টন গম উধাও হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, রাতেই স্টেশন এলাকা থেকে ওই গম চুরি হয়েছে। ওয়াগনের দরজার নিচে চাকু ঢুকিয়ে অভিনব কায়দায় গম চুরি হয় বলে জানান তিনি। এ ঘটনায় তিনি চরম উদ্বেগে প্রকাশ করেন।
চুরির ঘটনা সম্পর্কে সৈয়দপুর রেলওয়ে মাস্টার শওকত আলী জানান, স্টেশন এলাকাটি নিরাপত্তা বেষ্টনী হিসাবে চিহিৃত। ইয়ার্ডের পাশেই রয়েছে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা। এত নিরাপত্তা ভেদ করে চুরির ঘটনা ঘটতে পারে না।
তিনি পাল্টা আশংকা করে বলেন, গম চুরির ঘটনাটি স্টেশনের বাইরে ঘটতে পারে।
এ নিয়ে ঘটনাস্থলে কথা হয় সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার এসআই শফিউল ইসলাম বলেন, চুরির ঘটনাটি রহস্যজনক। সিলগালা ঠিক আছে অথচ ওয়াগনের ভেতর থেকে গম চুরি গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
সৈয়দপুর রেলস্টেশনে মালামাল খালাস কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের ট্যান্ডেল (সর্দার) জিকরুল হক জানান, ওয়াগনে পরিবহণকৃত মালামাল সরকারি পরিমাপক দিয়ে ওজন করা হয়। এতে ওয়াগনে মালামাল কম থাকলে তা অবশ্যই বোঝা যাবে। চুরির ঘটনা সত্য বলে জানান তিনি। তবে অতীতে রেলস্টেশনে এ ধরনের চুরির ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি।