আগামী রোববার থেকে সারাদেশে এক কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারের কাছে সাশ্রয়ীমূলে টিসিবি পণ্য বিক্রি শুরু করবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দুই কিস্তিতে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে। প্রথম কিস্তি বিক্রি শুরু হবে ২০ মার্চ থেকে। চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত। দ্বিতীয় কিস্তি বিক্রি করা হবে ৩ এপ্রিল থেকে। চলবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত। ভ্রাম্যমাণ ট্রাক সেলের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে। সুশৃঙ্খলভাবে টিসিবির পণ্য বিক্রির জন্য দেশব্যাপী এ সুবিধাভোগী পরিবারগুলোর তালিকা তৈরি করে বিশেষ ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১২ লাখ এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনে ৯০ হাজার পরিবারকে কার্ড দেওয়া সম্ভব হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় স্থানীয় জনসংখ্যা, দারিদ্রের সূচক বিবেচনায় নিয়ে এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এতে প্রায় ৫ কোটি মানুষ উপকৃত হবেন। বিতরণের আগের দিন সংশ্লিষ্ট ফ্যামিলি কার্ড হোল্ডারদের পণ্য বিক্রয়ের স্থান ও সময় জানিয়ে দেয়া হবে। পণ্যের মধ্যে রয়েছে ২ লিটার সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১১০ টাকা দরে, ২ কেজি চিনি ৫৫ টাকা দরে, ২ কেজি মসুর ডাল ৬৫ টাকা দরে, ২ কেজি ছোলা ৫০ টাকা দরে এক প্যাকেটে বিক্রি করা হবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃত সুবিধাভোগীরা যাতে টিসিবির পণ্য পান, সে জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন টিসিবির ট্রাক সেল অব্যাহত থাকবে। রমজান সংযমের মাস, সবাইকে সংযম প্রদর্শন করতে হবে। সবাই যদি একসঙ্গে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় না করেন, তা হলে কোনো সমস্যা হবে না। দেশে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুত রয়েছে, কোনো সংকটের সম্ভাবনা নেই। এসব পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সরকার সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আগামীতে বছরব্যাপী ট্রাক সেলের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয়ের পরিধি আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।’
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) চেয়ারম্যান ব্রিগে. জেনা. মো. আরিফ হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অনুষ্টানের বিশেষ অতিথি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম সফিকুজ্জামান।