রবিবার , ২০ মার্চ ২০২২ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
TableTalkUK
  1. ক্রাইম সিন
  2. খেলাধুলা
  3. জেলার খবর
  4. তথ্য-প্রযুক্তি
  5. প্রবাসের কথা
  6. বাংলাদেশ
  7. ব্যাবসা-বাণিজ্য
  8. ভিডিও সংলাপ
  9. মিডিয়া
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সকল সংবাদ

কারা কর্মকর্তার নামে প্রতিবেদন দিয়ে বিপদে কর্মচারী

প্রতিবেদক
ukadmin
মার্চ ২০, ২০২২ ৫:২১ পূর্বাহ্ণ

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নামে একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থায় প্রতিবেদন দিয়ে বিপদে পড়েছেন এক কারা কর্মচারী। ওই কর্মচারীর নাম মোহাম্মদ মাসউদুল ইসলাম। পদমর্যাদা সাঁটলিপিকার (স্টেনোগ্রাফার) কাম কম্পিউটার অপারেটর। কারাবিধি অনুযায়ী, এই পদমর্যদার কর্মচারীরা আইজি (প্রিজন্স) অথবা অতিরিক্ত আইজির (প্রিজন্স) দপ্তরে (পিএ বা ব্যক্তিগত সহকারী) কর্মরত থাকেন। ২০০৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর কারা অধিদপ্তরে যোগদানের পর ১৪ বছর ধরে মাসউদুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করছিলেন। সম্প্রতি তাকে যেখানে বদলি করা হয়েছে, সেখানে (অডিট শাখায়) অতীতে কখনো কোনো সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটরকে বদলি করা হয়নি।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ মাসউদুল ইসলাম  বলেন, গত নভম্বরে আমাকে অডিট শাখায় বদলির আদেশ দেওয়ার পর থেকে মানসিকভাবে চরম হতাশায় ভুগছি। অডিট শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জসহ সবাই গ্রেডেশন লিস্টে আমার জুনিয়র। আমি ১৩তম গ্রেডে চাকরিতে যোগ দিই। ওই সময় তিনি (বর্তমান ইনচার্জ) ছিলেন ১৪তম গ্রেডের কর্মচারী। জুনিয়র এই কর্মকর্তা ইনচার্জ হওয়ায় এখন আমার সঙ্গে নানা ধরনের দুর্ব্যবহার ও অমানবিক আচরণ করছেন।

তিনি বলেন, সাবেক কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন কর্মরত অবস্থায় একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা থেকে একজন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন চাওয়া হয়। আমি কারা মহাপরিদর্শক মহোদয়ের ব্যক্তিগত সহকারী হিসাবে কারা মহাপরিদর্শকের নির্দেশনার আলোকে ওই প্রতিবেদন প্রস্তুত করি।

যার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রস্তুত করি তাকে বিষয়টি অবহিত করিনি। ওই সময়ে তার পদোন্নতি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হয়নি। এর কারণ হিসাবে ওই কর্মকর্তা মনে করেন, আমি তার বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রতিবেদন দিয়েছি। আর এ কারণেই তার পদোন্নতি আটকে যায়। তাই তিনি আমাকে এবং আমার পরিবারকে (স্ত্রী কারা অধিদপ্তরে অফিস সহকারী হিসাবে কর্মরত) নানামুখী চাপে ফেলে চাকরিচ্যুতির চেষ্টা চালাচ্ছেন।

মোহাম্মদ মাসউদুল ইসলাম আরও বলেন, দীর্ঘ ১৪ বছর আমি একই পদে কর্মরত। একদিকে আমার কোনো পদোন্নতি হচ্ছে না, অন্যদিকে অর্পিত দায়িত্বও পালন করতে দেওয়া হচ্ছে না।

এটা আমার প্রতি অন্যায় করা হচ্ছে। তিনি বলেন, গ্রেডেশন লিস্টে আমার নাম প্রথমদিকে থাকলেও নিচের গ্রেডের কর্মচারীর প্রমোশন হচ্ছে। কেউ কেউ ১৩তম গ্রেড থেকে পদোন্নতি পেয়ে ১০ম গ্রেডে পদায়িত হয়েছেন।

এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য কারা অধিদপ্তরে যাওয়া হলেও কারা মহাপরিদর্শককে (আইজি, প্রিজন্স) পাওয়া যায়নি। অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. আবরার হোসেন  বলেন, মাসউদুলের অতীত রেকর্ড ভালো না। তাছাড়া নতুন আইজিপি যোগদানের আগেই চাচ্ছিলেন তিনি পুরোনো কোনো স্টাফের সঙ্গে কাজ করবেন না। এ কারণে তার দায়িত্ব আবুল বাসারকে দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ - ব্যাবসা-বাণিজ্য