মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় শহিদ বেদিতে পুষ্পস্তবক দেওয়া কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উভয়পক্ষের ছয়জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
শনিবার সকালে উপজেলায় শহিদ বেদিতে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে আসা বিভিন্ন সংগঠন, প্রতিষ্ঠানের লোকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় বালিয়াটি ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ও ফুকুরহাটির নাজমুল হোসেনসহ কয়েকজন আহত হন। নাজমুলকে আহতাবস্থায় সাটুরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে সাটুরিয়া থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে বালিয়াটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রহুল আমিন বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছি। এর পর আওয়ামী লীগের ব্যানারে বহিষ্কৃত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান মীর সোহেল আহম্মেদ চৌধুরী ও তার সমর্থকরা পুনরায় পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এটি হতে পারে না। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটিও একটা এ জন্য পৃথকভাবে পুষ্পমাল্য অর্পণ দেওয়া সমীচীন নয় ! এ বিষয়টি নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়। একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়, যা খুবই দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।
বালিয়াটি ইউপি চেয়ারম্যান মীর সোহেল আহম্মেদ চৌধুরী জানান, গত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করি। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে আমাকে সাময়িক বহিষ্কার করে। পরে বহিষ্কার প্রত্যাহার করা হয়। এ কারণে দলীয় ব্যানারে ফুল দিয়েছি। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রহুল আমিন আপত্তি করলে সংঘর্ষের রূপ নেয়।
সাটুরিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে শহিদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ কেন্দ্র করে হট্টগোল হয় সকাল ৮টার দিকে। আমি ও আমার ফোর্স মিলে দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।
সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আফাজ উদ্দিন বলেন, সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলছি। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটো বলেন, যারা এই স্বাধীনতা দিবসে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে এবং হামলা করেছে, তারা এ দেশে বিএনপি-জামায়াতের দোসর। এদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।