২৯০ দিন পাকিস্তানী কারাগারে বন্দি থেকে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে দিল্লি থেকে আসা বিমান থেকে ঢাকার মাটিতে পা রাখেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আনন্দে আত্মহারা লাখ লাখ বাঙালি ঢাকা তেজগাঁও বিমান বন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পর্যন্ত তাকে স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা জানায়। সেদিন বিকাল ৫টায় রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ লোকের উপস্থিতিতে তিনি ভাষণ দেন।
আবেগ আপ্লুত হয়ে সেই দিন বঙ্গবন্ধু যেমন বলে ছিলেন তেমনি মূল কণ্ঠে অভিনয় করে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রের শিক্ষার্থী ঠোঁট মিলিয়ে বললেন, ‘ইয়াহিয়া খান আমার ফাঁসির হুকুম দিয়েছিলেন। আমি বাঙালি, আমি মানুষ, আমি মুসলমান। বাঙালিরা একবারই মরতে জানে। তাই আমি ঠিক করেছিলাম, আমি তাদের কাছে নতি স্বীকার করবো না। ফাঁসির মে যাবার সময় আমি বলবো, আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা। তাদের আরও বলেছি তোমরা মারলে ক্ষতি নাই। কিন্তু আমার লাশ বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছে দিও।’
দর্শকের মুহুর্মুহু করতালিতে এ দৃশ্য অভিনন্দিত হয়। বঙ্গবন্ধুর ওই দিনের মতো বক্তব্য উপস্থাপনের পর পরই ব্যাকগ্রাউন্ডে সদ্য প্রয়াত সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের ‘বঙ্গবন্ধু তুমি ফিরে এলে……’ ঐতিহাসিক গানে পরিবেশকে আরও ঘনীভূত করে ফেলে। যেন এক খণ্ড ১০ জানুয়ারি ১৯৭২।
এমন পরিবেশনায় মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়ামীন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার শফি উদ্দিন মনিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা প্রশংসা করেন।