নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে আমোদিনী পালের বিরুদ্ধে হিজাব পরার কারণে ছাত্রীদের মারধরের অভিযোগ উঠে। তবে ছাত্রীদের পিটুনির সঙ্গে হিজাবের কোনো সম্পর্ক খুঁজে পায়নি তদন্ত কমিটি। তারা স্কুলড্রেস না পরায় মারধর করা হয়।
এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের গঠন করা তদন্ত কমিটি সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কুলটিতে শিক্ষার্থীদের পিটুনি দেয়া হয়েছিল নির্ধারিত পোশাক না পরায়। এই ঘটনায় হিজাব বিতর্কের অন্তরালে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির দ্বন্দ্ব ও শিক্ষকদের মধ্যকার বিরোধই এ ঘটনার মূল কারণ বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন তুলে ধরে ইউএনও মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, মূলত স্কুল ড্রেস না পড়ার কারণে স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে দুই শিক্ষক বেত্রাঘাত করেন। তাদের মধ্যে হিন্দু ছাত্রী ও ছেলে শিক্ষার্থীও ছিল। হিজাব পরার কারণে শিক্ষার্থীদের মারধর করা হয়েছে, এমন তথ্য তদন্ত প্রতিবেদনে পাওয়া যায়নি।