নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত জান্নাতুল ফেরদাউস তাসপিয়ার (৪) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ইফতারের পূর্বে হাজীপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রাশেদ মিয়ার বাড়ির উঠানে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এ সময় স্বজনদের কান্না আর আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। নিহত তাসপিয়ার বাবা আবু জাহের নিজেই তার মেয়ের জানাজা পড়ান। জানাজায় হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আজিম মির্জাসহ নিহত শিশুর স্বজন ও কয়েকশ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
তাসপিয়ার চাচা হুমায়ুন কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, জানাজায় মানুষের কান্নায় আশপাশ কেঁপে ওঠে। খুনিদের ফাঁসি না দিলে তার আত্মা শান্তি পাবে না। খুনি রিমন, মহিনসহ সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবি করছি।
তাসপিয়ার বাবা আবু জাহের ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার একমাত্র কন্যা সন্তান তাসপিয়া। আর কোনো ছেলে-মেয়ে নেই। অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় আজ আমার মেয়েকে হারাতে হলো। আমি আমার ডান চোখ হারিয়েছি। আমি খুনিদের ফাঁসি চাই।
হাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহ আজিম মির্জা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ প্রশাসনকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। ন্যায় বিচারের বিষয়ে এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।
বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক অভিযানের মধ্যে রয়েছি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে। মামলার আলোকে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নে সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাবার কোলে থাকা শিশু জান্নাতুল ফেরদাউস তাসপিয়া নিহত হয়। এ সময় শিশুটির বাবা সৌদিপ্রবাসী আবু জাহেরও গুলিবিদ্ধ হন।