রাকিবুল হাসান আজ শনিবার অভিযোগ করেন, গতকাল রাত ১১টার দিকে তিনি উদয়ন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন স্বাধীনতার সংগ্রাম ভাস্কর্যের সামনে দিয়ে মোটরসাইকেলে করে মুহসীন হলে যাচ্ছিলেন। এ সময় সেখানে থাকা তাঁর এক বন্ধুর ডাক শুনে মোটরসাইকেল ইউটার্ন করছিলেন। তখন অতনু বর্মণও মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। জগন্নাথ হলের আরও কিছু ছাত্র আগে থেকেই উদয়ন বিদ্যালয়ের সামনে ছিলেন। ইউটার্ন নেওয়ার সময় অতনু বর্মণের মোটরসাইকেলের বহরের সঙ্গে তাঁর (রাকিবুল) মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হওয়ার উপক্রম হলে তিনি মোটরসাইকেল থামিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যান।
রাকিবুলের ভাষ্য, ‘মোটরসাইকেল থামিয়ে দাঁড়ানোর পরপরই অতনু বর্মণের সঙ্গে থাকা ব্যক্তিরা আমাকে গালিগালাজ করতে থাকেন। জবাবে আমি তাঁদের দাঁড়াতে বলি। এরপরই অতনু বর্মণের নির্দেশে তাঁর প্রায় ২০ জন অনুসারী আমার ওপর হামলা করেন। বারবার আমি ও আমার সেই বন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিচয় দিলেও তাঁরা কয়েক মিনিট ধরে আমাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও থাপ্পড় দেন।’
রাকিবুল বলেন, ‘খবর পেয়ে বন্ধুরা এসে আমাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কেটে গেছে, কিছু স্থান ফুলে আছে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে রোববার বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ দেব।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে অতনু বর্মণ বলেন, ‘ওই ছাত্রকে কোনো ধরনের মারধর করা হয়নি। তাঁর সঙ্গে আমার শুধু তর্কাতর্কি হয়েছে। সে প্রথমে আমাকে চিনতে পারেনি। সে যেহেতু আমার ক্যাম্পাসের জুনিয়র, তাই পরে সে আমাকে সরি (দুঃখিত) বলেছে। ব্যস্ততা থাকায় পরে আমি সেখান থেকে চলে আসি, সে–ও চলে যায়।’