বৃহস্পতিবার , ৯ জুন ২০২২ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
TableTalkUK
  1. ক্রাইম সিন
  2. খেলাধুলা
  3. জেলার খবর
  4. তথ্য-প্রযুক্তি
  5. প্রবাসের কথা
  6. বাংলাদেশ
  7. ব্যাবসা-বাণিজ্য
  8. ভিডিও সংলাপ
  9. মিডিয়া
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সকল সংবাদ

২০২২-২৩ বাজেট একনজরে

প্রতিবেদক
ukadmin
জুন ৯, ২০২২ ৫:৪৮ অপরাহ্ণ

এবারের বাজেটে মোট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। ঘাটতির মধ্যে অনুদানসহ বৈদেশিক উৎস থেকে আসবে ৯৮ হাজার ৭২৯ কোটি টাকা; আর অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আসবে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা, এর মধ্যে ব্যাংক খাত থেকে নেওয়া হবে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা।

জিডিপি সাড়ে ৭ শতাংশ

২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। আর ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে সাময়িক হিসাবে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ।

এর আগে গত ১৩ এপ্রিল বিশ্বব্যাংক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, চলতি অর্থবছরে (২০২১-২২) জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে। আর নতুন অর্থবছরে (২০২২-২৩) জিডিপির প্রবৃদ্ধি দাঁড়াতে পারে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ। গত ১৩ বছরে জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ৬ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংক বলেছে, করোনার কারণে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথ বাধাগ্রস্ত হলেও তৈরি পোশাক রপ্তানির ধারা এখনো শক্তিশালী। ইউরোপসহ বিভিন্ন বাজারে পোশাক রপ্তানির বাজার অংশীদারত্ব যদি ধরে রাখা সম্ভব হয়, তাহলে চলতি অর্থবছরে কাঙ্ক্ষিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব। আর নতুন অর্থবছরের বিষয়ে বিশ্বব্যাংক বলেছে, স্থানীয় চাহিদা পেলে ২০২২-২৩ অর্থবছরে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জিত হতে পারে।

মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ

চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে অসংগতি রোধের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার বদ্ধপরিকর। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বহিঃস্থ এবং কিছু অভ্যন্তরীণ কারণে সম্প্রতি মূল্যস্ফীতি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে বাজেট বক্তৃতায় জানান অর্থমন্ত্রী।

মূল্যস্ফীতির বৈশ্বিক কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে, বাণিজ্য সহযোগীদের মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, টাকার মূল্যমান কমে যাওয়া, বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থার প্রতিবন্ধকতা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। মূলস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আগামী বাজেটে বিভিন্ন কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হবে।

মধ্যবিত্তদের করের আওতায় আনা হবে

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের মধ্যবিত্ত বা তদূর্ধ্ব শ্রেণির জনসংখ্যা প্রায় ৪ কোটির মতো, যার অধিকাংশই আয়কর দিচ্ছে না। কর ফাঁকি রোধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণসহ করযোগ্য সবাইকে করের আওতায় আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

গত এপ্রিল পর্যন্ত টিনধারীর সংখ্যা ৭৫ লাখ ১০ হাজারে উন্নীত হয়েছে। পাশাপাশি গত মার্চ পর্যন্ত কর প্রদানকারীর সংখ্যা বেড়ে ২৯ লাখে দাঁড়িয়েছে। টিনধারীর সংখ্যা এক কোটিতে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার। কিছু ক্ষেত্র ব্যতীত সবার জন্য রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হবে।

সর্বশেষ - ব্যাবসা-বাণিজ্য