চিত্রনায়ক ওমর সানী ও জায়েদ খানের মধ্যকার চড়-পিস্তল ঘটনা নিয়ে ঢালিউডে উত্তেজনার চরমে।
অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের ছেলের বিয়েপরবর্তী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জায়েদকে সবার সামনে চড় মারেন ওমর সানী। মেজাজ হারিয়ে নাকি জায়েদ পিস্তল বের করে হুমকি দিয়ে বলেন— গুলি করে দেব।
যদিও জায়েদ বা ডিপজলের পক্ষ থেকে পিস্তল বের করার বিষয়টি অস্বীকার করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে জায়েদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ নিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে হাজির হন ওমর সানী।
সানীর অভিযোগ, বিগত চার মাস ধরে জায়েদ চিত্রনায়িকা মৌসুমীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করে যাচ্ছেন। তাকে ডিস্টার্ব করছেন। যে কারণে গত শুক্রবার বিয়ের অনুষ্ঠানে জায়েদ খানকে চড় মেরেছেন তিনি।
তবে মৌসুমীকে ডিস্টার্বের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জায়েদ খান। তার ভাষ্যে— সিনেমা-শুটিং নিয়ে মৌসুমীর সঙ্গে প্রায়শই কথা হয় তার। সেটা ডিস্টার্বের মতো কিছু নয়। মৌসুমীর সঙ্গে কথা বললেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
এ প্রসঙ্গে জায়েদ খান বলেন, ‘আমি কখনই তাকে (মৌসুমী) হেয়প্রতিপন্ন করিনি। এটা একদম ভুয়া কথা। এই তো ১৫-২০ দিন আগেও ডিপজল ভাইসহ মৌসুমী আপা মিলে মিটিং করেছি। সেখানে আমাদের কথাও হয়েছে। সম্পর্ক খারাপ হলে মিটিংয়ে আমাদের একসঙ্গে থাকার কথা নয়। এ ছাড়া সিনেমার শুটিংসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝেমধ্যেই কথা হয়। এ ব্যাপারে মৌসুমী আপার সঙ্গে কথা বললেই সব জানতে পারবেন।’
অবশ্য এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চিত্রনায়িকা মৌসুমী কোনো বক্তব্য দেননি। তাকে ঘিরে ঘটনা আবর্তিত হলেও তিনি বরাবরই চুপ রয়েছেন।
এদিকে পিস্তল বের করার বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করেছেন জায়েদ খান। উল্টো ওমর সানীকে মাতাল বলে অভিযোগ আনেন জায়েদ।
তিনি বলেছেন, ‘পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দেওয়ার কথা একেবারেই বানোয়াট। প্রথম কথা হচ্ছে— যেখানে অনুষ্ঠান হচ্ছিল সেখানে হলরুমে সিকিউরিটি ইলেকট্রনিক গেটের চেকআপ পেরিয়ে পিস্তল নিয়ে যাওয়া অসম্ভব। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে— ওখানে কোনো ধরনের অস্ত্র নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ। আর তিনি (ওমর সানী) সেদিন বেশ মাতাল ছিলেন। মদ্যপ অবস্থায় তিনি উপস্থিত হয়ে অযথা চিল্লাচিল্লি করছিলেন। এ কারণে আমি তাকে ঠাণ্ডা স্বরে কথা বলতে বলেছি। এর বেশি কিছু হয়নি। ডিপজল ভাই এসে সব ঠিকঠাকও করে দিয়েছেন। এর পর তিনি চলে যান।’