বন্যার পানি সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনায় রাস্তা কেটে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তার সেই নির্দেশনা মোতাবেক রোববার কয়েকটি রাস্তা কেটে ফেলা হয়েছে। এতে করে সুফল পাচ্ছেন বানভাসি মানুষেরা। পানি সরে যেতে শুরু করেছে সেখানে।
রোববার সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য দেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
মন্ত্রী বলেন, ‘বন্যাকবলিত এলাকায় কিছু রাস্তা কাটার প্রয়োজন পড়েছে। সিলেটের মেয়র সেটা জানিয়েছেন। এতে বন্যার পানি সহজে নেমে যাচ্ছে। কোথাও প্রয়োজন হলে আরও রাস্তা কেটে ফেলা হবে।’
সিলেট-সুনামগঞ্জই নয়; রাজধানী ঢাকাতেও বন্যা সতর্কতা আছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বন্যা হবে সেই সতর্কতা আছে। কিন্তু কী অবস্থায় যাবে বা বন্যা কতটুকু বিস্তৃত হবে, সেই পূর্বাভাস কোনো প্রতিষ্ঠান এখনো দেয়নি।’
ঢাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের কাছে খালের দায়িত্ব হস্তান্তর এবং অবৈধ দখলমুক্ত করার সুফল মিলছে। ঢাকার জলাবদ্ধতাও কমেছে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কাছে এরই মধ্যে ২৬টি খাল হস্তান্তর করা হয়েছে। দক্ষিণ সিটি খালের সাড়ে ছয় একর জমি ও উত্তর সিটি ২৫ একর জায়গা দখলমুক্ত করেছে।’