কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষের সময় পুলিশের ছোড়া টিয়ারগ্যাস আরিফুর রহমান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ঢুকে যায়। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বুধবার পৌর বাজারে রেলগেট থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত বিএনপির তাণ্ডবে ব্যাপক সংঘর্ষ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী নেতাকর্মীরা বাধা প্রধান করলে উভয়ের মধ্যে ইট-পাটকেল ও ধাওয়া পালটা দাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশসহ শতাধিক লোক আহত হয়েছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। এ সময় কয়েক রাউন্ড টিয়ারগ্যাস আরিফুর রহমান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এরিয়ায় ঢুকে যায়। এতে তৎক্ষণাৎ ২৭ জন ছাত্রী গুরুতর আহত হয়। ওই পরিস্থিতিতে সহকারী কমিশনার ভূমির গাড়ি করে নির্বাহী কর্মকর্তা নিজেই অসুস্থ শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। ঘটনার পরদিন স্কুলে আসার পর দুপুরে আবারো ১৮ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুল ছুটি দিয়ে অসুস্থ ছাত্রদের একই হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা অসুস্থ শিক্ষার্থীদের দেখতে হাসপাতালে যান।
এ বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. গোলাম মোস্তফা বলেন, বুধবার থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ৫০ জন ছাত্রী টিয়ারগ্যাসের কারণে আহত হয়ে ভর্তি হয়েছে। অনেকে সুস্থ হয়ে চলে গেছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় যারা আছে তাদের অবস্থা ভালোর দিকে আছে।
জানা গেছে, দুই গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালে আরিফুর রহমান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান মেহেবুবের উপস্থিতিতে দু-জন শিক্ষক বিদায় সংবর্ধনা ও বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন অনুষ্ঠান চলছিল। সেই সুবাদে বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী উপস্থিতি ছিল।
বিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এসএম রহমান ভূঁইয়া বলেন, বুধবার ওই সময়ে আমার স্কুলে সহকারী শিক্ষকদের বিদায় অনুষ্ঠান ও বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধনের কাজ চলছিল। এ সময় হঠাৎ করে কয়েক রাউন্ড টিয়ারগ্যাস এসে পড়লেই শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তৎক্ষণাৎ নির্বাহী স্যারকে অনুরোধ করে তাদের হাসপাতালে পাঠাই।