জনগণের রাজনৈতিক মুক্তি যদি না হয়, হাজারটা পদ্মা সেতু করেও কোনো লাভ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথাগুলো বলেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
গতকাল সোমবার দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভার সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আইয়ুব খান যে উন্নয়ন করেছিল পাকিস্তান আমলে…কিন্তু জনগণের রাজনৈতিক মুক্তি যদি না হয়, গণতন্ত্র যদি না থাকে, ভোটাধিকার যদি না থাকে, সেখানে কিন্তু কোনো লাভ হয় না। হাজারটা পদ্মা সেতু করেও কোনো লাভ হয় না।’
‘দেশের জনগণ আমাদের পাশে থেকে বারবার ভোট দিচ্ছে। আমাদের ওপর জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস আছে’, প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব প্রশ্ন তোলেন, ভোট দিচ্ছে কোথায়?
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘মানুষ ভোট দিতে পারছে কোথায় যে জনগণের আস্থাটা তিনি গ্রহণ করছেন। তিনি তো কাগজে-কলমে সিল মেরে আগের রাতে ভোট দিচ্ছেন, ইউনিয়ন পরিষদের ভোটের মতো আরকি। নির্বাচন দিয়ে দেখুন না, তাঁদের প্রতি কতটুকু আস্থা আছে?’
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনের বিষয়ে আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এটা নির্ভর করবে নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ হবে কি না, তার ওপর। যদি নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ হয়, তাহলে আমাদের অংশগ্রহণ অবশ্যই দৃশ্যমান হবে। আর যদি না হয়, হবে না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা খুব স্পষ্ট করে বলেছি, বাংলাদেশে যদি একটা সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন করতে হয়, এখানে অবশ্যই একটা নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার থাকতে হবে। তা নাহলে এখানে কোনোমতেই, যদি একেবারে স্বর্গ থেকে নির্বাচন কমিশনার নিয়ে আসেন, তাহলেও নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পারবেন না, অসম্ভব।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে না দাঁড়ানো, সঠিক পদ্ধতিতে প্রকৃত জনশুমারি ও গৃহগণনা না হওয়া, সারা দেশে লোডশেডিং, সাভারে স্কুলশিক্ষক হত্যা ও নড়াইলে অধ্যক্ষকে অপমানের ঘটনা বর্তমান সরকারের ব্যর্থতার কারণেই হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে, সরকার বন্যাকবলিত এলাকায় দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়েছে। বিশেষ করে বন্যাপরবর্তী পুনর্বাসনে সরকারের কর্মকাণ্ড দৃশ্যমান নয়। অবিলম্বে দুর্গত মানুষকে খাদ্য, বস্ত্র, গৃহনির্মাণ ও চিকিৎসার ব্যবস্থার জোর দাবি জানানো হয়