শ্রীলংকার নতুন প্রেসিডেন্ট হলেন রনিল বিক্রমাসিংহ। তিনি ২১৯ ভোটের মধ্যে পেয়েছেন ১৩৪ ভোট। স্পিকারসহ ২২৩ এমপি ভোট দিয়েছেন, ভোটদানে বিরত ছিলেন ২ এমপি এবং বাতিল হয় ৪ ভোট।
বুধবার সকাল ১০টায় পার্লামেন্টে আনুষ্ঠানিক ভোটদান শুরু হয়। পার্লামেন্টের মোট ২২৫টি আসনের বিপরীতে দুইজন সংসদ সদস্যের একজন পার্লামেন্টে উপস্থিত হননি। আরেকজন পার্লামেন্টে উপস্থিত থেকেও ভোটদান থেকে বিরত ছিলেন। খবর আলজাজিরার।
সংসদ সদস্যদের উপস্থিতিতে পার্লামেন্টের সেক্রেটারি-জেনারেল ২২৩টি ভোট যাচাই-বাছাই শুরু করেন। তার পর তিনি চারটি ভোট বাতিল হয়ে যায়। বাকি ভোটগুলো গণনার ভিত্তিতে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হয়।
দেশটির সংবিধান অনুসারে একজন প্রার্থীকে বিজয়ী হওয়ার জন্য মোট ১১২টি ভোট প্রয়োজন।
এতে আরও বলা হয়, ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের প্রতিনিধি হিসেবে হারিন ফারনান্দো, প্রার্থী দুল্লাস আলহাপ্পেরুমার প্রতিনিধি হিসেবে দিল্লান পিরেরা ও অনুরা কুমারা দিসানায়েকের প্রতিনিধি হিসেবে বিজিথা হেরাথ এমপি গণনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত গোটাবায়া রাজাপাকসের উত্তরসূরি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। অর্থনৈতিক সংকটের ফলে সৃষ্ট ক্ষোভে গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।
গোতাবায়া পালিয়ে যাওয়ার আগে রনিল বিক্রমাসিংহেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট করে যান। এর আগে তার ভাই মহিন্দা রাজাপাকসে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলে তিনিই তাকে প্রধানমন্ত্রী করে যান। গোতাবায়ার দল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রনিল বিক্রমাসিংহেকেই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়বেন ডুলাস আলাহাপেরুমা। ৬৩ বছর বয়স্ক ডুলাস কট্টর বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদী।
তবে তার রয়েছে পরিচ্ছন্ন ইমেজ। তিনি ক্ষমতাসীন দল এসএলপিপি’র মন্ত্রী ছিলেন। পরে পদত্যাগ করেন। তার দলের অনেকের সমর্থন তিনি পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নির্বাচনে অপর প্রার্থী হচ্ছেন অনুর কুমার দিসানায়েক। তার জয়ের সম্ভাবনা কম থাকলেও তিনি ভিন্ন সমীকরণ তৈরি করতে পারেন।
শ্রীলঙ্কায় ১৯৭৮ সালের পর এই প্রথম পার্লামেন্টের মাধ্যমে নির্বাচন হচ্ছে। এর আগে ১৯৮২, ১৯৮৮, ১৯৯৪, ১৯৯৯, ২০০৫, ২০১০, ২০১৫ ও ২০১৯ সালে ভোটারদের প্রত্যক্ষ ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।