রবিবার , ২৪ জুলাই ২০২২ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
TableTalkUK
  1. ক্রাইম সিন
  2. খেলাধুলা
  3. জেলার খবর
  4. তথ্য-প্রযুক্তি
  5. প্রবাসের কথা
  6. বাংলাদেশ
  7. ব্যাবসা-বাণিজ্য
  8. ভিডিও সংলাপ
  9. মিডিয়া
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সকল সংবাদ

রাজস্ব থেকে দুই সিটির পকেটে ১৭০০ কোটি টাকা

প্রতিবেদক
ukadmin
জুলাই ২৪, ২০২২ ৭:২৯ পূর্বাহ্ণ

রাজস্ব আদায়ে এবার নতুন রেকর্ড করেছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। বিদায়ী অর্থবছরে (২০২১-২২) দুই সিটি করপোরেশন বিভিন্ন খাত থেকে ১ হাজার ৬৯০ কোটি ৭ লাখ টাকা আদায় করেছে। এটি গত কয়েক বছরের মধ্যে রেকর্ড।

এর মধ্যে গৃহকর খাতে ঢাকা দুই সিটি করপোরেশন সবচেয়ে বেশি টাকা আয় করেছে। ট্রেড লাইসেন্স, বাজার ভাড়া, রিকশার লাইসেন্স, রাস্তা খনন ফিসহ বিভিন্ন সেবার বিপরীতে নগরবাসী থেকে নেওয়া টাকা দিয়ে কর্মকর্তাদের বেতন–ভাতার পাশাপাশি নানা উন্নয়নমূলক কাজ করে থাকে সংস্থা দুটি। তবে সংস্থা দুটির কাছ থেকে এসব সেবা পেতে নানা ভোগান্তির অভিযোগ রয়েছে নগরবাসীর।

বিদায়ী অর্থবছরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৩৩টি খাত থেকে রাজস্ব আদায় করেছে ৮৭৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, আর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ২৫টি খাতে ৮২০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা আদায় করেছে।

এর আগে তিন অর্থবছরে সংস্থা দুটি যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় করেছিল, তা পর্যায়ক্রমে বেড়েই চলছে। যেমন ২০১৯-২০ অর্থবছরে দুই সিটির আয় হয়েছিল ১ হাজার ১৬৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আয় হয় ১ হাজার ৩৯৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সংস্থা দুটি আয় করে ১ হাজার ১৩০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

দুটি সিটির রাজস্ব বিভাগ সূত্র বলছে, এর আগের অর্থবছরে (২০২০-২১) ঢাকার দুই সিটি আয় করেছিল ১ হাজার ৫১৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। সে বছর দুই সিটি করপোরেশন আয়ের মধ্যে দক্ষিণ সিটির আয় হয়েছিল ৭০৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা, আর উত্তর সিটির হয়েছিল ৮১১ কোটি ৩ লাখ টাকা।

এর আগে তিন অর্থবছরে সংস্থা দুটি যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় করেছিল, তা পর্যায়ক্রমে বেড়েই চলছে। যেমন ২০১৯-২০ অর্থবছরে দুই সিটির আয় হয়েছিল ১ হাজার ১৬৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আয় হয় ১ হাজার ৩৯৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সংস্থা দুটি আয় করে ১ হাজার ১৩০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

নাগরিক সেবার বিপরীতে গৃহকর, ট্রেড লাইসেন্স, বাজার ভাড়া, রিকশার লাইসেন্স, রাস্তা খনন ফি, কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া, শৌচাগার ও পার্কিংয়ের জন্য ইজারা, জন্মনিবন্ধন ইত্যাদি থেকে রাজস্ব আদায় করে থাকে সিটি করপোরেশন। তবে এসব সেবা নিতে গিয়ে ক্ষেত্র বিশেষে নগরবাসীকে চরম হয়রানির স্বীকার হতে হয়। এর মধ্যে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় ট্রেড লাইসেন্স ও জন্মনিবন্ধন করতে গিয়ে।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ট্রেড লাইসেন্সের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের অনিয়মে ও দুর্নীতির দায়ে অবশ্য কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছে। যেমন ঢাকা উত্তর সিটির অঞ্চল-৪ (মিরপুর-১০) এ আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে দুই মাস আগে এক কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

আর দক্ষিণের মেয়র দায়িত্ব নেওয়ার পর নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা ইউসুফ আলী সরদারকে চাকরিচ্যুত করেন। পাশাপাশি লাইসেন্স ও বিজ্ঞাপন বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক ইকবাল আহমেদসহ আরও কয়েকজনকে চাকরি থেকে অপসারণ করেন। অবশ্য ব্যবস্থা নেওয়া হলেও এসব সেবা নিতে রাজস্ব বিভাগের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ কমেনি।

বিভিন্ন সংস্থার উন্নয়নকাজের জন্য সিটি করপোরেশন রাস্তা খনন ফি খাতে রাজস্ব আদায় করলেও ঠিক সময়ে এসব কাজ শেষ না হওয়ায় সড়কে ভোগান্তিতে পড়ে পথচারী ও যাত্রীরা। এ বিষয়ে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একজন নির্বাহী প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, আগে বিভিন্ন সংস্থা সড়ক খনন করে ঠিক সময়ে কাজ শেষ করত না।

গত বছর থেকে এই চিত্র অনেকটাই বদলেছে। নগরবাসীরা বলছে, সেবার বিপরীতে জনগণের কাজ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে, তবে সেবা নির্বিঘ্ন করা হচ্ছে না। এ বিষয়ে দুই সিটিকে আরও মনোযোগী হতে হবে বলে মনে করেন পুরান ঢাকার বাসিন্দা জাকির হোসেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, সব ধরনের কাগজপত্র সঙ্গে নেওয়ার পরও ট্রেড লাইসেন্স করতে গিয়ে তাঁকে হয়রানির মুখে পড়তে হয়েছে। পরে তিনি ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার সহায়তা নেন।

সর্বশেষ - ব্যাবসা-বাণিজ্য