বুধবার , ১২ অক্টোবর ২০২২ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
TableTalkUK
  1. ক্রাইম সিন
  2. খেলাধুলা
  3. জেলার খবর
  4. তথ্য-প্রযুক্তি
  5. প্রবাসের কথা
  6. বাংলাদেশ
  7. ব্যাবসা-বাণিজ্য
  8. ভিডিও সংলাপ
  9. মিডিয়া
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সকল সংবাদ

সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণভাবে ভোট চলছিল, বন্ধ করেন রিটার্নিং অফিসাররা

প্রতিবেদক
ukadmin
অক্টোবর ১২, ২০২২ ৫:৫৮ অপরাহ্ণ

অনিয়ম, কারচুপি ও জালিয়াতির অভিযোগ ওঠায় গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (সিইসি)। বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে ব্রিফিংয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ ঘোষণা দেন। ওইসময় সিইসি জানান, সিসিটিভি ফুটেজে তিনি এবং অন্য নির্বাচন কমিশনাররা নিজ চোখে ভোটকেন্দ্রে আইন লঙ্ঘন হতে দেখেছেন। ৫০টিরও বেশি কেন্দ্র ইসির নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় তারা ভোট বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তবে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছিল বলে জানিয়েছেন প্রিজাইডিং অফিসাররা। তাদের কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ চলছিল বলে জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন অন্তত ১৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার। তবে সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশে তারা ভোটগ্রহণ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) স্বহস্তে লেখা চিঠিও পাঠিয়েছেন প্রিজাইডিং অফিসাররা।

সমরপড়া দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন মশিউর রহমান। তিনি নির্বাচন কমিশন বরাবর দেওয়া এক চিঠিতে লিখেছেন, তার কেন্দ্রে ভোট সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ সহকারী রিটার্নিং অফিসার কামরুল ইসলামের নির্দেশে তিনি ভোটগ্রহণ বন্ধ করেন।

ইসিতে দেওয়া প্রিজাইডিং অফিসারদের চিঠি/ছবি: সংগৃহীত

সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল লতিফও একই তথ্য ইসিকে জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘আমার কেন্দ্রের ৮টি বুথেই সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছিল। দুপুর আড়াইটার মধ্যে ভোট পড়েছে ৮৯৫টি। কিন্তু ৩টার সময় কমিশনের নির্দেশে নির্বাচনকেন্দ্র ত্যাগ করলাম।’

উদয়ন মহিলা কলেজের প্রভাষক প্রিজাইডিং অফিসার মাহমুদুল হাসান। তিনি বেড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বে ছিলেন। মাহমুদুল হাসান ইসি বরাবর স্বহস্তে লেখা চিঠিতে বলেন, ‘কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই ভোটগ্রহণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল ইসলামের নির্দেশে ভোটকেন্দ্র পরিত্যাগ করলাম।’

নলদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে এ কে এম জুলফিকার হায়দার। তিনি চিঠিতে লিখেছেন, ‘নির্বাচনী কর্মকর্তা সহকারী রিটার্নিং অফিসার কামরুল ইসলামের নির্দেশনায় আমি এ কে এম জুলফিকার হায়দার প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে ১১৩নং নলদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ করলাম। ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা হয়নি। ভোটগ্রহণ করা হয়েছে ৪৮০টি। আমরা বিকেল ৩টায় ভোটকেন্দ্র ত্যাগ করলাম।’

মোংলারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. কামরুজ্জামান চিঠিতে লেখেন, ‘নির্বাচনী কর্মকর্তা সহকারী রিটার্নিং অফিসার কামরুল ইসলামের নির্দেশনায় আমি মো. কামরুজ্জামান প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে ১২৮নং মোংলারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ করলাম। ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা হয়নি। ভোটগ্রহণ করা হয়েছে ৬৮৯টি। আমরা বিকেল ৩টায় ভোটকেন্দ্র ত্যাগ করলাম।’

এদিকে, পুরো নির্বাচনী এলাকায় ইসির এমন ভোট বন্ধের সিদ্ধান্তকে অদূরদর্শিতা বলেছেন অনেকে। এটাকে ইসির ব্যর্থতাও বলেও উল্লেখ করছেন নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা। ভোটকেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সদস্যদেরও ঠিকমতো পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা। এছাড়া যেসব কেন্দ্রে অনিয়ম হয়েছে, সেখানে কেন্দ্রভিত্তিক ভোট স্থগিত করা যেতো। তা না করে তদন্ত ছাড়াই সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ভোটগ্রহণ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

সর্বশেষ - ব্যাবসা-বাণিজ্য