আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। যদিও এখনও সমাবেশস্থল নির্ধারণ নিয়ে অবস্থান পরিষ্কার করেননি বিএনপির নেতারা। অন্যদিকে পুলিশও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়া অন্য কোথাও বিএনপিকে সমাবেশ করতে দিতে চায় না। এ অবস্থায় সমাবেশের স্থান নির্ধারণে ফের পুলিশের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন দলটির নেতারা।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে আলোচনা করতে যান।
আলোচনা শেষে ডিএমপির সদরদপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি নয়াপল্টনে সমাবেশ করব। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে আমাদের একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ আমাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়ে চিঠি দিয়েছে। আমরা এ বিষয়ে আজ আলোচনা করতে এসেছিলাম। বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি ও পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে আলোচনা করে এ বিষয়ে ঠিক করতে বলা হয়েছে। ভেন্যুর বিষয়ে আলোচনা তারা করবেন। কাল থেকেও এ আলোচনা চলতে পারে। তারপরই ঠিক হবে ভেন্যু।
ঢাকায় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে দাবি করে আমান উল্লাহ আমান বলেন,
আমরা দেশের বিভাগীয় শহরে ৯টি সমাবেশ করেছি। কোথাও কোনো ঝামেলা হয়নি। ঢাকায়ও হবে না। তারপরও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এসব গ্রেপ্তার সমাবেশের জনসমুদ্র থামানোর জন্য করা হচ্ছে। রাজশাহীর সমাবেশ থেকে ফেরার পথে যুবদলের সভাপতি সালাহউদ্দিন টুকু ও সাধারণ সম্পাদক নয়নকে আমিন বাজারে ব্যারিকেড দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সবগুলো মামলায় জামিনে ছিলেন। পুরান ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক সমাবেশের লিফলেট বিলি করছিলেন এ সময় তার ওপর হামলা হয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে এমন গ্রেপ্তার ও হামলা করা হচ্ছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলন, বিএনপি কোনো জঙ্গি সংগঠন না। পুলিশ জঙ্গি ধরুক। আমরা-তো জঙ্গি নয়। ৩০ নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ৭৫০ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা থাকলেও তারা সবাই আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। তারপরও তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসব বিষয় আমরা ডিএমপি কমিশনারকে বলেছি, এসব গ্রেপ্তার অভিযান বন্ধ করতে হবে।