রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার হয়। শনিবার (১১ মার্চ) বিকেল ৫টা থেকে এই ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদেরকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া থেকে ‘মোহাম্মদ’ বাসে রাজশাহী আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী। কিন্তু বাসে সিটে বসাকে কেন্দ্র করে গাড়িচালক শরিফুল ও তার সহযোগী রিপনের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় ওই শিক্ষার্থীর। পরে ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর ফটকে আবারও তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান।
তখন সেখানে মীমাংসার জন্য স্থানীয় এক দোকানদার আসেন। পরে ওই দোকানদারের সঙ্গে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড় হয়ে স্থানীয় দোকানদারের ওপর চড়াও হন। পরে স্থানীয়রা একজোট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পাল্টাধাওয়া করেন।
এ সময় দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিসহ কয়েকজন সাংবাদিক স্থানীয়দের হামলায় আহত হন।
সরেজমিন দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী সড়কে অবস্থান নিয়েছে স্থানীয়রা। অন্যদিকে ক্যাম্পাসের ভেতরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের সামনে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। উভয় গ্রুপের হাতেই লাঠিসোঁটা, ইট। স্থানীয়রা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢিল ছুড়ছে। এ ছাড়া তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভেতরে বিনোদপুর গেটের পাশের পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীও কাজ করছে।’