মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে মঙ্গলবার (৩ মে)। এরই মধ্যে ছুটি হয়ে গেছে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত ও কর্মস্থল। কর্মচঞ্চল সচিবালয় এলাকায়ও এখন সুনসান নীরবতা। কোথাও নেই কর্মব্যস্ততা। সারাদেশে চলছে শেষ মুহূর্তের ঈদ প্রস্তুতি। রাজনৈতিক অঙ্গনেও লেগেছে ঈদের ছোঁয়া। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে বিরোধী দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের অনেকে এবারও নিজ নির্বাচনী এলাকার মানুষের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করবেন। আবার অনেকে ঈদ করবেন ঢাকায়।
করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর বন্ধ থাকার পর এবার ঈদের প্রধান জামাতের জন্য প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ ময়দান। প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি নিয়ে ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত হবে জাতীয় ঈদগাহে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ঈদের মোট পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিবারই সর্বসাধারণের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ও আলোচিত রাজনৈতিক নেতাদের ঈদ। কোন দলের কোন নেতা বা সরকারের কোন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপি কোথায় ঈদ করবেন, এ নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যরা এবার কে কোথায় ঈদ করছেন, তা নিয়েই জাগো নিউজের এ প্রতিবেদন।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যথারীতি গণভবনে ঈদ উদযাপন করবেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সকাল-বিকেল ঢাকা ও নির্বাচনী এলাকা গাজীপুর মিলিয়ে ঈদ করবেন। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ঈদ করবেন ঢাকায়। এরইমধ্যে নিজ নির্বাচনী এলাকায় ঈদ উপলক্ষে ঘুরে এসেছেন কৃষিমন্ত্রী, শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যাবেন ঈদের পরদিনও। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ঈদ করবেন ঢাকায়।
এ বছর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির ঈদও হবে ঢাকায়। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আমার নেতাকর্মীরা যেন যার যার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারেন সেজন্য সবসময়ই আমি ঈদের প্রথম ও দ্বিতীয় দিন ঢাকায় থাকি। ঈদের তৃতীয় দিন এলাকায় সবার সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করি।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ নিজ নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়ায় ঈদ করবেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ঢাকায় তার নির্বাচনী এলাকা তেজগাঁওয়ে ঈদ করবেন। মনিপুরীপাড়ার মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করার কথা রয়েছে তার।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ঢাকায় ঈদ করেই চলে যাবেন নির্বাচনী এলাকা পিরোজপুরে। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম ঈদ করবেন নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লার লাকসামে। পরিবেশ ও বনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন নির্বাচনী এলাকা মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ঈদ করবেন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ঈদ করবেন নিজ এলাকায়। তিনি মেহেরপুর পৌর ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী নিজ নির্বাচনী এলাকা দিনাজপুরে ঈদ উদযাপন করে ঢাকায় ফিরবেন।
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক ঈদ করবেন নিজ নির্বাচনী এলাকা বরিশালে। পানিসম্পদ উপ-মন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম ঈদ করবেন ঢাকায়। তিনি এরইমধ্যে নির্বাচনী এলাকা শরীয়তপুর ঘুরে এসেছেন, ঈদের পরে আবারও এলাকাবাসীর মাঝে ফিরবেন।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য নিজ নির্বাচনী এলাকা যশোরের মনিরামপুরে ঈদ উদযাপন করবেন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে তোফায়েল আহমদ, মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আব্দুর রহমান, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আহমদ হোসেন, অসীম কুমার উকিল ও তার স্ত্রী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, সুজিত রায় নন্দী, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও আমিনুল ইসলাম আমিন নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ঈদ করবেন। জাহাঙ্গীর কবির নানক, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিএম মোজাম্মেল হক, ড. সেলিম মাহমুদ ঈদ উদযাপন করবেন ঢাকায়।