রবিবার , ১৭ এপ্রিল ২০২২ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
TableTalkUK
  1. ক্রাইম সিন
  2. খেলাধুলা
  3. জেলার খবর
  4. তথ্য-প্রযুক্তি
  5. প্রবাসের কথা
  6. বাংলাদেশ
  7. ব্যাবসা-বাণিজ্য
  8. ভিডিও সংলাপ
  9. মিডিয়া
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সকল সংবাদ

ভূতুড়ে সম্পদে শত কোটি টাকার মালিক মহিলা আওয়ামী লীগের জান্নাত আরা হেনরী

প্রতিবেদক
ukadmin
এপ্রিল ১৭, ২০২২ ৩:২৫ পূর্বাহ্ণ

বিপুল পরিমাণ সহায়-সম্পত্তিতে হঠাৎ ফুলেফেঁপে উঠেছেন মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জান্নাত আরা হেনরী। নির্বাচনি হলফনামায় ২০০৮ সালে যার সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র আড়াই লাখ টাকা, তিনি এখন শত কোটি টাকার মালিক। শুধু ২০২০-২১ অর্থবছরেই কালো টাকা সাদা করেছেন প্রায় ৩২ কোটি। গাড়ি-বাড়ি স্থাবর সম্পদের তালিকাও বেশ দীর্ঘ। শুধু নিজ জেলা সিরাজগঞ্জ নয়, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, পটুয়াখালী ও রাজধানী ঢাকায় তার অঢেল সম্পদের ছড়াছড়ি অবস্থা। এরমধ্যে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সিরাজগঞ্জে গড়ে তুলেছেন ‘হেনরী ভুবন’। বিলাসবহুল রিসোর্ট দিয়ে যার যাত্রা শুরু হলেও এই হেনরী ভুবনে অনেক কিছুর দেখা মিলবে। মাত্র ১২-১৩ বছরের ব্যবধানে কিভাবে তিনি শূন্য থেকে শিখরে উঠলেন, কী এমন জাদুর কাঠির সাক্ষাৎ পেলেন তিনি। জান্নাত আরা হেনরীকে নিয়ে তার নিজের এলাকার জনমনে এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সারাক্ষণ।

দীর্ঘ অনুসন্ধানে এই রাজনৈতিক নেত্রীর প্রদর্শিত আয় ও সম্পদের বাইরে উঠে এসেছে বিপুল পরিমাণ সম্পদের চাঞ্চল্যকর সব তথ্যও।

হলফনামায় দেওয়া সম্পদের তথ্য অনুযায়ী জান্নাত আরা হেনরী কৃষিখাত থেকে বাৎসরিক আয় করেন মাত্র ২ হাজার টাকা। শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখানো হয়েছে এমএসএস (১ম পর্ব)। অভিনব পেশার অধিকারী এই নেত্রী পেশা দেখিয়েছেন শিক্ষকতা, চিকিৎসা ও আইনি পরামর্শক ইত্যাদি। এই খাত থেকে আয় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৮০ হাজার টাকাই ব্যয় দেখানো হয়েছে। ২০০৮ সালে হাতে নগদ ছিল আড়াই লাখ টাকা এবং স্বামী শামীম তালুকদার লাবুর হাতে তখন নগদ ২ লাখ টাকা। নিজের নামে সাড়ে ১৭ শতক কৃষি জমি। যার মূল্য ধরা হয়েছে সাড়ে ৩৪ হাজার টাকা। আর অকৃষি জমি ছিল শূন্য দশমিক ৩৬ শতক। মূল্য ধরা হয় ২ লাখ টাকা। স্বামী লাবুর নামে ২ লাখ টাকা দামের কৃষি জমি ছিল ৩ বিঘা। একই শ্রেণির জমি ছিল সাড়ে ৬ শতক। যার দাম ধরা হয়েছে আরও ২ লাখ টাকা। অথাৎ স্বামীর জমির মূল্য ৪ লাখ টাকা। হলফনামায় হেনরীর স্বর্ণালঙ্কার ছিল ২০ ভরি। সর্বসাকুল্যে স্বামী-স্ত্রীর ৯ লাখ ৯০ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য উপস্থাপন করা হয়। ২০০৮ সালের ২০ নভেম্বর নির্বাচনি এই হলফনামায় স্বাক্ষর করেন জান্নাত আরা হেনরী।

এদিকে অজ্ঞাত জাদুর কাঠির পরশে রাতারাতি বদলে যেতে থাকে জান্নাত আরা হেনরীর জীবনযাপন ও অর্থনৈতিক অবস্থা। শুধু ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ, পটুয়াখালী ও রূপগঞ্জে কোটি কোটি টাকার সম্পদ কিনেছেন তিনি। এই সময়ে ঢাকা মেট্রো চ-১৯-০৫৯১ ও ঢাকা মেট্রো ঝ-১১-১১৩২নং মিনিবাস কিনেছেন ৫০ লাখ টাকায়। এ ছাড়াও আরও ৫টি গাড়ি আছে তার। এই ৫ গাড়ির পেছনে ব্যয় করা হয়েছে আরও প্রায় ৮০ লাখ টাকা।

আয়কর নথিতে যা আছে : ২০২০-২১ অর্থবছরে সাড়ে ৩২ কোটি কালো টাকা সাদা করেছেন জান্নাত আরা হেনরী। এই টাকা হাতে হাতে এবং ব্যাংকের মাধ্যমে সাদা করার তথ্য পাওয়া গেছে। এক কোটি ৫২ লাখ ৪৭ হাজার ৫০ টাকার প্রাইজবন্ডও আছে সম্পদের তালিকায়। বর্তমানে প্রতি বছর হেনরী কত টাকা আয় করেন তারও একটি হিসাব পাওয়া গেছে। এতে দেখা গেছে, বাড়ি-ঘর সম্পত্তি থেকে ৭ লাখ ২ হাজার টাকা, কথিত চায়না কোম্পানির উপদেষ্টা হিসাবে ২৮ লাখ টাকা, বিটিভির শিল্পী হিসাবে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, নির্মাণ সংক্রান্ত ব্যবসা (কনস্ট্রাকশন বিজনেস) থেকে ৩ কোটি ২২ লাখ ৪২ হাজার ৫৫৮ টাকা, ব্যাংক সুদ পান ১৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে সাড়ে ৩২ কোটি কালো টাকা সাদা করার আগে ২০১৮ সালের ৭ জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ন্যাশনাল ব্যাংক সিরাজগঞ্জ শাখায় জমা দেখানো হয় ২৫ কোটি ৫০ লাখ ৪৮ হাজার ৯১৫ টাকা ও যমুনা ব্যাংক ধানমন্ডি শাখায় ঋণ হিসাবে জমা দেখানো হয় ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে বিল বাবদ জমার তথ্য উল্লেখ করে বলা হয়, ২৩ কোটি ৪ লাখ ৭২ হাজার ৮০৭ টাকা, এফডিআর হিসাব থেকে মুনাফা প্রাপ্তি ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকা, সম্মানি আয় ও গৃহ সম্পত্তির ভাড়া ৪৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং বিবিধ জমার পরিমাণ দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৯১ লাখ ২৬ হাজার ১০৮ টাকা।

জান্নাত আরা হেনরীর বিষয়ে পাওয়া তথ্যউপাত্তে দেখা গেছে, মূলত ২০১৮ সাল থেকে আয়কর নথিতে তার স্থাবর সম্পদ দৃশ্যমান হতে থাকে। এর মধ্যে ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর ৬৬৮৮ নং দলিলে সিরাজগঞ্জের বাহুকা মৌজায় ১৬ শতক জমি কিনেন ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকায়। পরদিন ২৭ নভেম্বর ৬৬৩৯ নং দলিলে একই মৌজায় ৫১ শতক কিনেন ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকায়। ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি ৮২২ নং দলিলে ৩৪ শতক ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ওই বছরের ২১ মে একই মৌজায় ৫৮৬৯ নং দলিলে ৩ লাখ টায় ১৮ শতক, ২০১৯ সালের ২০ জুন পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ৯নং জেএল রজপাড়া ২৫৭৪ নং দলিলে ২ একর ৫১ শতক কিনেছেন ১ কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার টাকায়, তিন দিন পর ২৪ জুন সিরাজগঞ্জের রতনকান্দিতে ৯ শতক জমি কেনেন দেড় লাখ টাকায়, একই বছরের ২ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কামতা আবাসিক এলাকায় ৪৫৩৬নং দলিলে ২২ লাখ ৭০ হাজার টাকায় ৫ কাঠা জমি কেনেন। এই সময়েই ঢাকা মেট্রো চ-১৯-০৫৯১নং মাইক্রোবাস ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ঢাকা মেট্রো চ-৫৬-২৮৯৫ নং মাইক্রোবাস কেনা হয় ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ঢাকা মেট্রো ঝ-১১-১১৩২ মিনিবাস ৩২ লাখ টাকায় কেনেন।

২০০৮ সালে দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করা হয় ২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার। সেই স্বর্ণ এখন ফুলেফেঁপে ১শ ভরিতে ঠেকেছে।

হঠাৎ করে কোন জাদুর ছোঁয়ায় হেনরী শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেওয়া হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে দেওয়া একটি অভিযোগে। বলা হয়, ‘৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজয়ের পর সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হওয়ার পর ঋণ পেতে সহায়তা, বড় বড় প্রকল্প পেতে দালালিসহ হলমার্ক কেলেঙ্কারিতেও নাম আসে তার।’ উল্লিখিত সম্পত্তি ছাড়াও নামে-বেনামে কেনা জমিতে যে স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে তার মূল্য শত কোটি টাকার উপরে। আছে অত্যাধুনিক মানের রিসোর্টও। অথচ দলিল মূল্য প্রকাশ করা হলেও আয়কর নথিতে স্থাপনা গোপন করা হয়েছে। এই ভূতুড়ে পরিস্থিতির মধ্যেই স্বল্প সময়ের ব্যবধানে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন হেনরী। কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন। ব্যক্তি মালিকানা জমিসহ বিভিন্ন স্থানে সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে দখল করারও প্রমাণ রয়েছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আব্দুস সালাম খান নামের একজন কৃষক সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে আবেদন করে হেনরীর নামে নামজারি বাতিল করাতে সক্ষম হয়েছেন।

রহস্যাবৃত যত সম্পদ : ২০০৮ সালে নির্বাচনি হলফনামায় সর্বসাকুল্যে ৯ লাখ টাকার মালিক যে দম্পত্তি কয়েক বছরের ব্যবধানে তারা অন্তত শত কোটি টাকার অবকাঠামোই তৈরি করেছেন। সিরাজগঞ্জের গজারিয়ার রতনকান্দিতে প্রায় ১২ বিঘা সম্পত্তির উপর ‘কিছুক্ষণ’ নামে একটি রিসোর্ট করেছেন জান্নাত আরা হেনরীর স্বামী শামীম তালুকদার লাবু। পাশেই নির্মাণাধীন একটি কারাখানা। ওই রিসোর্টের ঠিক উল্টো পাশে নির্মাণ করা হয়েছে ‘হেনরী ভুবন’। অর্থাৎ বৃদ্ধাশ্রম তৈরি করা হয়েছে ১৬ বিঘা জমির ওপর। সরেজমিন দেখা গেছে, সেখানে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। বাইরে যে বিলবোর্ড রয়েছে সেখানে লেখা আছে-শামীম তালুকদার লাবু প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জান্নাত আরা হেনরী প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। ৫৬টি কক্ষ ও সুবিশাল ডাইনিং হল সমৃদ্ধ এই প্রতিষ্ঠানটি শামীম তালুকদার নিজেই তদারকি করছেন। নির্মাণ ব্যয়ও পরিশোধ করছেন তিনি। একই এলাকায় পিতা হোসেন তালুকদারের নামে নির্মাণাধীন হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। শুধু এমন দু-তিনটি প্রতিষ্ঠান নয়, সিরাজগঞ্জের নলিছাপাড়ায় রয়েছে জান্নাত আরা হেনরী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজ এবং হেনরী ইনস্টিটিউট অব বায়োসায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি একাডেমিক ভবন। সেটিও প্রতিষ্ঠা করেন শামীম তালুকদার লাবু।

গাজীপুরের শ্রীপুরের দুটি জায়গায় আছে লাক্সারিয়াস ‘রাস রিসোর্ট’। ১৪টি আধুনিক রুম, ৫টি প্রিমিয়াম বাংলো, ৪টি আর্কিটেকচারাল ডিলাক্স কটেজসহ আছে সুইমিং পুলও। সিরাজগঞ্জ স্টেশন রোডে আছে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন। নিচতলায় রয়েছে মার্কেট। সিরাজগঞ্জের মুজিব সড়কে আছে রাস মেডিকেয়ার। সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ কড্ডার মোড়ে বাস টার্মিনাল এলাকায় আছে বহুতল দুটি বাণিজ্যিক ভবন। হেনরী স্কলাস্টিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজ চালু করেছেন জেলার ফজল খান রোডে। জেলা শহরের অবস্থানকালে মুজিব সড়কে এই হেনরী যেখানে রাত্রিযাপন করেন সেই বাড়িটি ট্রিপ্লেক্স। যা সম্প্রতি আরও আধুনিকায়ন করা হয়েছে। মুজিব সড়কে আছে আরও একটি বহুতল ভবন। সেখানে বেসরকারি ক্লিনিকসহ রয়েছে আবাসিক ফ্ল্যাটও। মুজিব সড়কে নবনির্মিত ৭ তলা ভবন। নিচতলায় আছে মার্কেট। ভবনটি ডেভেলপার দ্বারা নির্মাণ করা হলেও অর্থায়ন মূলত হেনরীই করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সয়দাবাদের গ্রামের বাড়িতেও বিভিন্ন ভবন নির্মাণ করছেন তিনি। সিরাজগঞ্জ পোস্ট অফিসের বিপরীতে নির্মাণ করছেন ভবন। মিয়া আয়রন অ্যান্ড স্টিল নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও গড়েছেন এই মহিলা লীগ নেত্রী। গাজীপুরের শ্রীপুরে আছে গরুর খামারও।

হেনরী যা বললেন : বিপুল সম্পদ অর্জনের বিষয়ে জানতে চাইলে জান্নাত আরা হেনরী রোববার রাতে  বলেন, ‘আমিতো কোনো ফকিরের বাচ্চা না। আমার বাবার অনেক সম্পদ ছিল। শ্বশুরও ছিলেন সম্পদশালী। আমি যখন সোনালী ব্যাংকে ছিলাম তখন আমার নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাকে দুর্নীতিবাজ বানানো হয়। আমার এখন যে সম্পদ আছে তার বিপরীতে সরকারকে ভ্যাট-ট্যাক্স দেওয়া।’

তিনি বলেন, ‘আস্তে আস্তে করে ব্যবসার পরিধি বেড়েছে। ব্যবসায়িকভাবে আমরা সফল হয়েছি। সেইভাবে টাকা বেড়েছে।’ তাহলে ২০০৮ সালে হলফনামায় নিজের সম্পদ ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘আমার যতটুকু ছিল সেভাবে লিখেছি। একটি মহল বলার চেষ্টা করেছে আমার দুর্নীতি করার জায়গা ছিল সোনালী ব্যাংক। সেই ব্যাংকের জায়গাটা দুদকের নথিভুক্তির মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে। এরপর তো এমন কোনো রাষ্ট্রায়ত্ত দায়িত্বে আমাকে দেওয়া হয়নি-যে যেখান থেকে আমি দুই পয়সা কারও কাছ থেকে নিয়েছি।’ হেনরী দাবি করে বলেন, ‘সিরাজগঞ্জে আমি কোনো টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, বালুর ব্যবসা, চাকরি বাণিজ্য করিনি। যা কিছু অর্জন সবই বৈধ ব্যবসা থেকে।’

বৈধ আয় থাকলে ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রায় ৩৩ কোটি সাদা করেছেন কেন জানতে চাইলে বলেন, ‘সরকারের নিয়ম-নীতি অনুসরণ করেই এটা করা হয়েছে। কোনো কালো টাকা সাদা করিনি।’

সর্বশেষ - ব্যাবসা-বাণিজ্য