শেষ হয়েও হলো না শেষ! স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ এবং কোভিডে আক্রান্ত এক বিমানযাত্রীর আশপাশে থাকাদের বাদ দিয়ে ক্রাইস্টচার্চে বাংলাদেশ দলের অন্যরা কোয়ারেন্টিন থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন কাল। বৃষ্টির কারণে অনুশীলন করতে না পারলেও সবাই মাঠেও গিয়েছিলেন। কোয়ারেন্টিন সেন্টার ছেড়ে কাল তাঁদের উঠে যাওয়ার কথা ছিল টিম হোটেলেও। কিন্তু এরপরই এল দুঃসংবাদ।
নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে নতুন করে জানানো হয়, বাংলাদেশ দলের সবাইকেই আরও তিন দিন রুম কোয়ারেন্টিন করতে হবে। করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হলেও হেরাথের সঙ্গে একই ফ্লাইটে থাকায় ‘ইয়েলো ব্যান্ড’ পরতে হবে সবাইকেই। মাঠে গিয়ে অনুশীলন, জিমনেসিয়ামে যাওয়া—এসবও বন্ধ থাকবে।
কয়েক দিন ধরেই ক্রাইস্টচার্চের আবহাওয়া তেমন সুবিধার নয়। টানা বৃষ্টি আর কনকনে ঠান্ডায় বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের জবুথবু অবস্থা। তবে কালকের দিনটা ছিল অন্য রকম। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী বলে কথা! সুদূর নিউজিল্যান্ডে থেকেও ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি পার্কে জাতীয় পতাকা হাতে জাতীয় সংগীত গাইলেন মুশফিকুর রহিম-তাসকিন আহমেদরা। উপলক্ষটাতে অন্য রকম একটা স্বস্তির আনন্দও ছিল বাংলাদেশ দলের মধ্যে। কোয়ারেন্টিনের বিধিনিষেধের পর অবশেষে মাঠের চেহারা যে দেখতে পেলেন সবাই!