নারায়ণগঞ্জ শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন এক নম্বর রেলগেট এলাকায় বাস ও ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন নিহত ও আরো ১০ জন আহত হয়েছে। এ সময় একটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া পা উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত চার জনকে আশঙ্কাজনক অবস্তায় ঢাকায় পাঠিয়েছে। এদের মধ্যে মাথায় আঘাত পাওয়া তিনজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও পা-হাতে মারাত্মক আঘাত পাওয়া একজনকে মিডফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো তিনজন হলেন- অজ্ঞাত পা কাটা ছেলে (১০) ও অজ্ঞাত মাথায় আঘাত পাওয়া ব্যক্তি (৩৫)। মাথায় আঘাত পাওয়া নুরু মিয়া (২৫), মিডফোর্ডে পাঠানো একজন হলেন- মিজান মিয়া (৬৫)। নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসাপ্রাপ্তরা হলেন- কাদের (৩৮), আমেনা (৪০), মনির (২৬) ও শাকিলসহ ৬ জন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, যানজটের কারণে শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন ১ নম্বর রেলগেট এলাকায় রেললাইনের ওপরে আনন্দ পরিবহনের একটি বাস দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় ঢাকার কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশন গামী ট্রেনটি ওই বাসটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় একটি অটোরিকশাও দুমরে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। আহত হন কমপক্ষে ১০ জন
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন বলেন, খবর পেয়ে আমরা উদ্ধার কাজ শুরু করেছি। এই ঘটনায় দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। একটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া পা উদ্ধার করা হয়েছে। পা বিচ্ছিন্ন ছেলেটি বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যালে রয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় একজন শিশু মারা যায়।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান জানান, ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় রেল স্টেশনে ঢুকছিল ট্রেনটি। ওই সময়ে ১নম্বর রেলগেট এলাকাতে কালীরবাজার থেকে আসা আনন্দ পরিবহনের একটি বাস সামনে পড়ে যায়। তখন ট্রেনটি সজোরে ধাক্কা দেয়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস দুজন পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করে। তবে তারা বাসের যাত্রী না ট্রেনের সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।