অতি সংক্রামক ওমিক্রনের প্রভাবে মহামারীতে আবারো নতুন ঢেউয়ের শঙ্কায় সারাদেশে নতুন বছরের শুরুতেই গতি পেয়েছে টিকা কর্মসূচি।
শুরু হয়েছে সারাদেশের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে টিকা দেয়ার বিশেষ কর্মসূচি। এই কর্মসূচির লক্ষ্য হচ্ছে মাসে তিন কোটি ২০ লাখ ডোজ টিকা দেয়া।
শনিবার থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি চলবে আগামী দুই মাসব্যাপী। সপ্তাহে তিন দিন টিকা দেয়া হবে। এরমধ্যে দুই দিন পাবেন সাধারণ মানুষ আর বাকি একদিন মা ও শিশু।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক বলেন, বিশেষ এই কার্যক্রম গ্রাম ও ওয়ার্ড পর্যায়ে চলবে। পাশাপাশি চলবে স্বাভাবিক টিকা কর্মসূচি ও বুস্টার ডোজ দেয়া।
তিনি বলেন, নতুন বছরে টিকাদান কর্মসূচিতে গতি আনতে চমক হিসেবে এই কর্মসূচি নেয়ার হয়েছে। ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী সবাইকে টিকা দেয়ার টিকা দেয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা জানান, নিবন্ধন করে যারা টিকা পায়নি তাদের যেমন এই টিকা দেয়া হবে, যারা নিবন্ধন করেনি, তারাও শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট নিয়ে আসলে টিকা নিতে পারবেন। একইসঙ্গে টিকা কেন্দ্রে নিবন্ধনেরও সুযোগ থাকছে।
শামসুল হক বলেন, দেশের চার হাজার ৬১১টি ইউনিয়নে মোট এক লাখ ১০ হাজার ৬৪৬ কেন্দ্রে এই টিকা দেয়া হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে ৩০০ ডোজ টিকা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে দেশে ১১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ রয়েছে। তাদের কাছে টিকা পৌঁছে দিতে প্রতিটি ওয়ার্ডে ইতোমধ্যেই টিকা কেন্দ্র তৈরি করা আছে।
প্রতিটি ইউনিয়নে ৯টি করে ওয়ার্ড রয়েছে। এই ৯টি ওয়ার্ডে গড়ে ২৪-২৭টি টিকা কেন্দ্র থাকবে। এর মাধ্যমে সরকার তৃণমূল পর্যায়ের সবাইকে টিকার আওতায় আনতে চায়।
এই কর্মসূচিতে শুধু প্রথম ডোজ দেয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে তাদেরকে বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে। এজন্য টিকার কোন অভাব হবে বলে না বলেও জানান তিনি।