ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড লুহানস্ক ও দোনেতস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, এখানেই থামবেন না পুতিন।
ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নেবে এখন সেটা দেখার অপেক্ষা।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ৭টায় প্রেসিডেন্টে জো বাইডেন হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন। এখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
পশ্চিমাদের হুমকি-ধামকি পাত্তা না দিয়ে সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী–নিয়ন্ত্রিত দোনেতস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে ‘স্বাধীন প্রজাতন্ত্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দেন। একই সঙ্গে এ অঞ্চলে ‘শান্তিরক্ষী’ হিসেবে রুশ সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেন তিনি।
পুতিনের ঘোষণার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, পরিস্থিতির কূটনৈতিক সমাধানের ব্যাপারে পুতিনের কোনো আগ্রহ নেই। তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক ঐক্যে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে। তা অটুট রাখতে ইউক্রেনের সরকার ও জনগণের পাশে রয়েছে ওয়াশিংটন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের এমন ঘোষণায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি জানান, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের জবাব দিতে মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনের দোনেতস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলে নতুন বিনিয়োগ, বাণিজ্য ও অর্থায়ন নিষিদ্ধ করে নির্বাহী আদেশে সই করেছেন বাইডেন।
এর আগে জাতিসংঘে নিয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড পুতিনের কর্মকাণ্ডকে ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন’ হিসেবে অভিহিত করেন। ইউক্রেন সংকট নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে তিনি বলেন, আমরা জানি, শান্তিরক্ষীর নামে ওই সেনারা আসলে কারা।